প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবায় বিদ্যমান নীতিগত বাধা দূর ও সিম কর প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এমএনপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন। তাদের মতে, এসব প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দিলে গ্রাহকসেবা উন্নত হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত “মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি): চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক কর্মশালায় এসব দাবি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মশালায় ইনফোজিলিয়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসাইন বলেন, ‘গ্রাহকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। কিন্তু বিভিন্ন বিধিনিষেধ সেই স্বাধীনতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দূর করা গেলে পরোক্ষভাবে সরকারের রাজস্বও বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন সর্বোত্তম সেবা।’
ইনফোজিলিয়নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশীয় এটুআপি উদ্যোক্তারা মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। কারণ অপারেটররাই সরাসরি গ্রাহকের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন। ভারতে রেগুলেটর-সমর্থিত পরিবেশে এমএনপি সফল হয়েছে, বাংলাদেশেও তেমন সহায়তা দরকার।’
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ওটিপি সুরক্ষায় মাস্কিং বাধ্যতামূলক করতে হলে এমএনপি বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। এতে করে অননেটের পাশাপাশি অফনেট এসএমএসেও মাস্কিং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি, এটুআপি (এটুপি) বার্তার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করে তা আইআইজির ( আইআইজি) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করলে আন্তর্জাতিক এসএমএস থেকেও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বলে মত দেন তারা।
কর্মশালায় ইনফোজিলিয়নের টেকনিক্যাল লিড ওবায়দুল ইসলাম জানান, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের ৭২তম দেশ হিসেবে এমএনপি চালু করলেও প্রথম বছরে সাত লাখ ব্যবহারকারী এ সেবা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ছয় বছরে সেবাটির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। বর্তমানে ৯৭ শতাংশ গ্রাহক এমএনপি ব্যবহার করছেন না। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে বিভিন্ন রেগুলেটরি বাধা।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইনফোজিলিয়নের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাজ্জাদ হোসাইন মজুমদার, হেড অব সার্ভিস আসিফুর রহমান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রিফাত হাসান।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দেব।
সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহদী বলেন, ‘এই সেবাটি সরকারের পক্ষ থেকে সাবসিডি করা যেতে পারে। তৃতীয় পক্ষের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ দিলে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং বাজারে ভারসাম্য তৈরি হবে।’