কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী বন্দুক হামলার পর পাকিস্তানে ভারতের সামরিক আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিক নিহত হন। এই ঘটনায় হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জোরালো হয়।

কাশ্মিরে স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। হিমালয় লাগোয়া এই বিতর্কিত ভূখণ্ড নিয়ে দুই প্রতিবেশী অতীতে দুবার যুদ্ধ করেছে।

সোমবার ইসলামাবাদে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং আমরা সেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

তিনি জানান, কাশ্মিরের সাম্প্রতিক ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হুমকি বাড়ছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সম্ভাব্য ভারতীয় হামলার ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক করেছে। তবে আসন্ন আক্রমণ নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

কাশ্মিরের পেহেলগামের হামলার ঘটনায় ভারত ইতোমধ্যে দুই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে পাকিস্তানি বলে দাবি করেছে। তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা উচ্চ সতর্কাবস্থায় আছি। অস্তিত্বের জন্য সরাসরি কোনো হুমকি তৈরি হলে কেবল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ সূত্র: রয়টার্স।