প্রকাশিত: ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
বৃষ্টির পর তীব্র গরম—এডিস মশার জন্য আদর্শ পরিবেশ। এই আবহাওয়ায় ডিম থেকে পরিণত মশা হতে মাত্র সাত দিন লাগে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মাস দুয়েকের মধ্যে দেশে ডেঙ্গুর পিক সিজন শুরু হতে পারে।
তাদের মতে, পিক সিজন আসার আগেই মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি। তবে বর্তমানে প্রচলিত ফগিং পদ্ধতি মশা নিধনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সরেজমিন রাজধানীর আগারগাঁও কলোনিতে দেখা যায়, ড্রেনে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। দিনের বেলাতেও মশার অত্যাচারে বাসিন্দাদের মশারি টানিয়ে থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন থাকলেও তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা জানান, কয়েলসহ নানা উপকরণ ব্যবহার করেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।
কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, “ফগিং এখন আর মাঠপর্যায়ে কার্যকর নয়। এখনই সিটি করপোরেশনগুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে।”
ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার অব্যবস্থার কারণে আগারগাঁওয়ের কলোনিতে সারাবছরই ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ লেগে থাকে। গত বছর এই সময় থেকেই ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করেছিল। প্রতি বছরই সিটি করপোরেশন প্রস্তুতির কথা বললেও বাস্তবে কার্যকর উদ্যোগের অভাব দেখা যায়।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, “মশা নিধনের ওষুধ নিয়ে অতীতে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এবার ওষুধ কেনা হয়েছে। ওষুধ ছিটানো ও তদারকির জন্য সেনাবাহিনীকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর পিক সিজনে চিকিৎসার ওপর নির্ভর না করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও জমে থাকা পানি সরানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গুতে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মারা যান ৫৭৫ জন, যার মধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি ছিল। সূত্র; যমুনা টিভি