প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ ১২ নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত এসব ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পৃথক তিন ধাপে ইন্টারপোলের কাছে এই আবেদন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি – গণমাধ্যম) ইনামুল হক।
রেড অ্যালার্ট জারির জন্য যাদের নামে আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন:
শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকার সাবেক দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
এআইজি ইনামুল হক বলেন, “বিচারিক আদালত, প্রসিকিউশন কিংবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধে এনসিবি শাখা ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশের আবেদন করে থাকে। সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগ ও তদন্তের ভিত্তিতেই এই আবেদন করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিদেশে অবস্থানরত অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা গেলে তা ইন্টারপোলকে জানানো হয়। রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অন্য ১১ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ সংবলিত তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করে আবেদন করা হয়েছে।
২০২3 সালের নভেম্বরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির জন্য অনুরোধ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের আবেদন করা হয়। এরপর চলতি এপ্রিলের ১০ তারিখে বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধেও এনসিবি থেকে আবেদন পাঠানো হয়।
জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।