প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলেও, ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসের “অপমানজনক প্রচার কৌশল” বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ৬২০ জন ফিলিস্তিনির মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির আওতায় বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দফায় শনিবার ছয়জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয় হামাস। এর বদলে ইসরায়েল ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।
নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, হামাস আমাদের জিম্মিদের অপমানজনকভাবে ব্যবহার করছে এবং চুক্তির শর্ত বারবার লঙ্ঘন করছে। ফলে, বন্দি মুক্তির পরবর্তী ধাপে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেব না।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি বন্দিদের স্বজনরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বন্দিরা মুক্তি পাবেন এমন আশা নিয়ে দিন পার করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ছাড়েনি ইসরায়েল।
হামাস এই সিদ্ধান্তকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েল বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দফা স্থগিত রেখে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর উগ্রপন্থী রাজনৈতিক শরিকরা চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন। তারা চাইছেন গাজায় পুনরায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু হোক।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের, যার বিনিময়ে ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাওয়ার কথা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েল যাবে কি না, তা অনিশ্চিত।