প্রকাশিত: ২:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য সহজ নয়, তবে এটি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘গ্যাপএক্সপো-২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০২৩ সালে নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম তিনগুণ বৃদ্ধি করে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার। বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে ৩০ টাকা এবং ক্যাপটিভে ১৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা করা হয়। পরবর্তী বছর ক্যাপটিভ গ্যাসে প্রতি ইউনিট আরও ৭৫ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়।
তবে দাম বাড়ানোর পরও শিল্পখাতে গ্যাস সংকট পুরোপুরি দূর হয়নি। সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এবার প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করা হবে।
নতুন সংযোগে পুরো গ্যাস বিল নতুন দামে নির্ধারণ করার প্রস্তাব থাকলেও, পুরোনো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড়ের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের মতামত উপেক্ষা করে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে তাহলে পার্থক্য কী রইলো?’
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রশ্ন তোলেন, ‘শিল্পখাতে গ্যাসের দাম ৭০-৭৫ টাকা করার যৌক্তিকতা কী? এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হলো না কেন?’
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আশ্বস্ত করেন, ‘গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সুখকর নয়, কিন্তু এটি প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে যথাযথ আলোচনার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’