প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
সারাদিন ডেস্ক
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি (গ্রাহক পরিচিতি ফরম), লেনদেন বিবরণীসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে জমা দিতে হবে।
তলব করা সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন- দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, ডিবিসি নিউজের বার্তা প্রধান প্রণব সাহা, এস এ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বার্তা প্রধান মামুন আবদুল্লাহ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও এম শামসুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট অনিমেষ কর, সমকালের সাংবাদিক রমাপ্রসাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন রাসেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি ও মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এস এ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন এবং একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জড়িত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। বিএফআইইউ বিভিন্ন পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দের পদক্ষেপ নেয়।
তলব করা হিসাবগুলোতে কোনো সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন, অর্থপাচার বা অনিয়ম পাওয়া গেলে সেগুলোর তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়ে পেশাজীবীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে স্বাভাবিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ বলে মনে করলেও, অনেকেই এর ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন