প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমরা সংস্কারের লক্ষ্যে এক থেকে দেড় বছরের জন্য এসেছি। আমরা বেশি দিন থাকব না। কিছু ভালো কাজের উদাহরণ রেখে যেতে চাই। আমরা একটি মেঠোপথ রেখে যাবো, যাতে অন্যরা সে পথে এগিয়ে যেতে পারেন।”
রোববার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত “সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি: প্রবণতা, মূল চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় সৌদির গুরুত্ব অনেক। মুক্ত বাণিজ্যের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সহায়তা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং এবং সৌদির আরামকো কোম্পানিকে বিমানবন্দর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব ঘটনা ভবিষ্যতে আর যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
শেয়ার মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কিছু কোম্পানির ফ্যাক্টরি বন্ধ হলেও তাদের শেয়ারের দাম বাড়ছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন দক্ষ কর্মী তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী দক্ষ কর্মীর চাহিদা থাকলেও আমরা সে অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারছি না। দক্ষ কর্মী তৈরিতে উন্নত প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা জরুরি।”
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান বিদেশি বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের আগের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।”
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন, পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বক্তব্য দেন।