প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুলিশের মূল কাজ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ দায়িত্ব সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পালন করা হবে। এ জন্য সাধারণ মানুষের সহযোগিতা জরুরি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের রিং রোডের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় স্থানীয় পুলিশ, ছাত্র-জনতা এবং সম্মানিত নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।
কমিশনার বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ সবার সহযোগিতা কামনা করছে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদপুরের চাঁদাবাজরা মোহাম্মদপুরেরই বাসিন্দা। সুতরাং আপনার প্রতিবেশী খারাপ মানুষটিকে আপনি প্রতিহত করুন। ফুটপাতের চাঁদাবাজ চক্রকে মনিটরিং করা হচ্ছে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কমিশনার বলেন, অটোরিকশা চালক প্রতিনিধিদের সাথে দুই দফা বৈঠক হয়েছে। নাগরিকদের স্বার্থে অটোরিকশার প্রয়োজন আছে তবে একই সাথে অটোরিকশার সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা অটোরিকশা বৃদ্ধিতে ঢাকা শহরে হাঁটার রাস্তা কমে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, মিছিল-মিটিং খোলা রাস্তার পরিবর্তে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় যদি করা যায় তাহলে জনদুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। রাস্তা অবরোধের চর্চা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতে হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। কমিশনার তাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, গীতা পাঠ এবং গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এই মতবিনিময় সভা পুলিশের জনসংযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।