প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সবুজ সংকেত পেলেই প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে বাউফল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ীরা সরকার গঠন করবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “একটি গোষ্ঠী রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে, যা সফল হতে দেওয়া হবে না। প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
হজের খরচ প্রসঙ্গে তিনি জানান, হাজিদের সুবিধার্থে বিমান ভাড়া কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় খরচে দলীয় ব্যক্তিদের হজে পাঠানোর প্রথা বন্ধ করা হচ্ছে।
বাউফল উপজেলার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন বৃত্তির ঘোষণা দেন তিনি এবং গুণীজনদের সম্মান জানিয়ে বলেন, “বাউফল থেকে দেশের উন্নয়নে বহু গুণীজন অবদান রেখেছেন। আগামী প্রজন্মকে মানবিক ও চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে বাউফল ফাউন্ডেশন।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থী, জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের ছয় সদস্য এবং ২১ গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর হচ্ছে ইসলাম। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ইসলামের বিকল্প অন্য কিছু নেই এবং থাকতে পারে না। মানবরচিত আইনে গত ৫৩ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে কিন্তু সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হয়নি। বরং সমাজের স্তরে স্তরে বৈষম্যের বেড়াজাল সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় আগামীর বাংলাদেশে সাড়ে ৪ লাখ মানুষের বাউফল হবে এক পরিবার। যেখানের ধর্মের কোনো বিভাজন থাকবে না। সকলেই নাগরিক মর্যাদায় এক পরিবারের সদস্য হবে। ব্যক্তির সংস্কার ব্যতীত রাষ্ট্রের সংস্কার সমাজে সুফল আসবে না। সেজন্য বাউফল ফাউন্ডেশন ব্যক্তির সংস্কার করে আদর্শিক ও চরিত্রবান মানবিক মানুষ হিসেবে গড়তে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ গুণিজনদের সম্মান না দিয়ে দলীয় চোর-ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের গুণিজন সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করেছে। রাষ্ট্রের একজন গুণীজনও আওয়ামী লীগের শাসনামলে সম্মাননা পায়নি।