প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সময়সাপেক্ষ হলেও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে এবং ভবিষ্যতে অর্থপাচার রোধে কঠোর নীতি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “গত ১৫ বছরে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা স্বল্পমেয়াদি সংস্কারের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। বৈদেশিক মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা এলেও দ্রুত অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি সঠিক পথ তৈরি করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ সরকারগুলোকেও অনুসরণ করতে হবে।”
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক বিজনেস স্কুল আয়োজিত “ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পূর্বের ভুল নীতিমালার কারণে অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছিল। সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “উন্নয়নের বয়ানে তথ্যের রাজনীতিকরণ হয়েছে। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির। ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আর এফ হোসেন এবং বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ।
এই সংলাপে অর্থনৈতিক খাতে সংস্কার, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা এবং মধ্যম আয়ের ফাঁদ মোকাবিলার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।