প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে টানা ১০ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে তুলে নিয়ে আসার জন্য আমরা এবার এ দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
৭ তারিখ আমরা স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত করা হবে। ৮ অক্টোবর বিকাল ৩টায় রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি করব। ৭ তারিখ বৃহস্পতিবার বলে রাস্তাঘাটে যানজট যাতে না হয় সেজন্য সেদিন সেটা না করে ৮ তারিখ করছি।
এছাড়া সব বিভাগীয় শহরগুলোতে র্যালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হবে বলে জানান মহাসচিব।
৭ নভেম্বরের কর্মসূচি :
৬ নভেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো আলাদাভাবে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেবেন বলে জানান মহাসচিব।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আলোচিত একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে ঢাকা সেনানিবাসে বন্দি হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তিনি সেনাপ্রধান হয়েছিলেন।
নভেম্বরের শুরুতে সেনাবাহিনীতে খালেদ মোশাররফ ও তার অনুসারীরা জিয়াকে গৃহবন্দি করেন। এরপর ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে এক দল সেনা সদস্য জিয়াকে মুক্ত করেন। এরপর নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ তার কয়েকজন সঙ্গী। কার্যত এ দিনেই জিয়াউর রহমানের উত্থান ঘটে, যিনি পরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে। বিএনপি এ দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দিনে সরকারি ছুটি থাকে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে এই যৌথ সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নেন।
যৌথ সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আফরোজা খান রীতা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মীর সরাফত আলী সপু, এম এ মালেক, আমিনুল হক, মাহবুবুল হক নান্নু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জয়ন্তু কুমার কুন্ড, হারুনুর রশীদ, হুমায়ুন কবির খান, মোস্তাক মিয়া,ওয়ারেস আলী মামুন, ওবায়দুর রহমান চন্দন, নজরুল ইসলাম আজাদ, বেনজীর আহমেদ টিটো, এস এম জাহাঙ্গীর, খন্দকার আবু আশফাক, নিপুণ রায় চৌধুরী মুনির হোসেন, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়োরি উপস্থিত ছিলেন।
সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসলাম রবিন, শ্রমিক দলের মণ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, উলামা দলের মাওলানা কাজী মো. সেলিম, মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, শ্যামল মালুমসহ নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জের নেতৃবৃন্দ যৌথ সভায় অংশ নেন।