প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা, পাইকারি এবং উৎপাদক পর্যায়ে ডিম, মুরগির দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছিল। দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার একমাস পরেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার-সোনালি মুরগি। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ রাজধানীর বাজারে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এ সপ্তাহেও চড়া দাম বলবৎ রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো সবজির দামই কমেনি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, রায়েরবাজার ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। ক্রেতাকে এক কেজি পেঁপের বিপরীতে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারভেদে তা ৪০ টাকায়ও মিলছে।
এদিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কচুরমুখী ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গোল সাদা বেগুন এবং লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গোল কালো বেগুনের দেখা নেই বাজারে।
করলার কেজি ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা। কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়শ। বরবটির কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
পাইকারি বাজারে ৪০ টাকা পিস দরে বিক্রি হওয়া প্রতিটি লাউ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস হিসেবে।
এছাড়া বাজারে দুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। তবে মহল্লার ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতারা কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৮০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি ২২০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা ও মুলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব সবজির দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে একই অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২১০ টাকায় আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। এ ছাড়া, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি আগের মতো বাড়তি দামে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস আগের মতো বাড়তি দামে প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সেখানকার মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ডিমের পাশাপাশি সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি চিঠিতে মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সেই নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ডিমের মূল্যের পাশাপাশি কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।