প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উচ্চ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ। তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের পর আদালত এ আদেশ দেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তার পরিবারের সদস্য ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তোলা হয় দেহাবশেষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর মরদেহ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তার ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ সিলেটে দাফন করা হবে। এর আগে, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
তিন বছর আগে হারিছ চৌধুরীকে এই কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা হয়।
হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ‘আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি।’
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন, রেজিস্টার্ড জেনারেলের কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, জেলা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাভার থানা পুলিশের উপস্থিততে মরদেহ তোলা হয়। এরপর মরদেহ চিহ্নিত করতে যা যা সংগ্রহ করা দরকার সেগুলো করা হবে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কিনা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। পরিবার তাকে রাষ্ট্রীয় যথাযথ সম্মান দেওয়ার দাবি করেছে। এ বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে। আর পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে দাফন করা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাদ আসর খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে কবরস্থ করা হয় ঢাকার সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদরাসার কবরস্থানে। অভিযোগ রয়েছে, সেই থেকে তৎকালীন সরকার মৃত্যুটিকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি হারিছ চৌধুরীর লাশ কি না তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সেই ধোঁয়াশা কাটাতে আদালতের শরণাপন্ন হন তারই মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন।