প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মূল্যস্ফীতি ও জাতীয় আয়ের তথ্য বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে এতদিন (আওয়ামী লীগের সময়ে) করা সব ধরনের চুক্তির মূল কাগজ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘জিডিপি, জাতীয় আয়, মূল্যস্ফীতি এবং এডিপির প্রাক্কলন করা হয় এগুলোর বস্তুগত ভিত্তিতে, যা অত্যন্ত দুর্বল। এগুলো কীভাবে হয় এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য আমরা আলাদাভাবে বিবিএসের (পরিসংখ্যান ব্যুরো) সঙ্গে বসবো।’
দুর্নীতির কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি এসব অভিযোগের ভিত্তি খুঁজতে আগস্ট থেকে কাজ করছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া সালমা ভবনে সরকারের ২৪টি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। যেখানে আলোচনা হয় যেসব তথ্য-উপাত্তে ভর করে সাজানো ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে বিগত সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা; তার ভিত আসলে কতোটা মজবুত।
বৈঠকে সরকারের তথ্য তৈরি, পরিবেশন এবং প্রাক্কলন যারা করেন- এমন ২৪টি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এসময় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. সেলিম রায়হানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংস্থাগুলোর মধ্যে বিবিএস, বিআইডিএস, এনবিআর, বিডা, বেজা, বিসিক, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘রাজনৈতিক চাপে সরকারি কর্মকর্তারা সঠিক তথ্য দিতে অসহায় ছিলেন (পারতেন না)। ফলে তারা বাধ্য হয়েই যে কোনো সরকারি প্রাক্কলন করতেন। যারা ভয়ে বা চাপে এতদিন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তাদের বলা হয়েছে, এখন সময় এসেছে সে সুযোগ কাজে লাগান।’
এক প্রশ্নের জবাবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের তৃতীয় সভা হবে। আমরা তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। এখন লেখার কাজ কীভাবে শুরু হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা যে উন্মুক্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিলাম এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আমরা দ্রুত ঢাকার বাইরে টাউনহল বৈঠক করবো। আমরা কী পেয়েছি সেই ভেতরের তথ্য এখন বলার সময় নয়, সময় আসলে বলা হবে।’