প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
নির্মম ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন-রংপুরের আলোচিত আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড এবং আশুলিয়া হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলাসহ উত্তরা, যাত্রাবাড়ীর নির্মম হত্যাগুলোর তদন্ত দ্রুত শেষ করে বিচারের জন্য নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে যে, কত দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা যায় তার ওপর।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
বিচারটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হবে যাতে দেশে ও বিদেশে এর বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকে-বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গণবিপ্লবের সময় অনেকেই শহীদ হয়েছেন এবং অনেকের অঙ্গহানি ঘটেছে। তাই জাতির প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তি জরুরি। তদন্ত সংস্থাকে অপরাধের সব তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, জনগণ চায় যে বিচার দ্রুত শেষ হোক এবং ত্রুটিহীন হোক, যাতে কোনো সমালোচনা বা প্রশ্ন উঠতে না পারে। তিনি উল্লেখ করেন, বিচার চললেও গোটা দুনিয়ায় কেউ যেন না বলতে পারে যে বিচারটি আগের মতো অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। এজন্য তিনি সরকারের কাছে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের অনুরোধ জানিয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হলে কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন চিফ প্রসিকিউটর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমের কার্যক্রম চলমান থাকলেও ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি না থাকায় বিচার কার্যক্রম থমকে আছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার গত ১৩ জুলাই অবসরে যান। অন্য এক সদস্য বিচারপতি হাইকোর্টে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে কোনো বিচারপতি নেই। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের আশা করছেন বলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।