প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ইলিশ রপ্তানির জন্য চিঠি পাঠিয়েছে ভারতের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। ইলিশ পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন করা চিঠি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে কাগজটা দেখেছি। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা তো আর মাছ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিই না।
এর আগে, ‘ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি ভারতীয় রপ্তানি প্রতিষ্ঠান চিঠিতে লিখেছে, অত্যন্ত বিনয় এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে (পররাষ্ট্র উপদেষ্টা) জানানো যাচ্ছে যে, আমরা ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আমদানি করে আসছি। প্রতি বছর আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানি করি।
এতে আরও বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত, ২০১২ সালের জুলাইয়ে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকার ইলিশ মাছের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এরপর থেকে আমরা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
ভারতীয় রপ্তানি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তবে গত ৫ বছর (সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত), বাংলাদেশ সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং সময়ের জন্য শুধুমাত্র দুর্গাপূজার সময় ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনার (পররাষ্ট্র উপদেষ্টা) সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশের ইলিশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
চিঠিতে সফলভাবে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দনও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে বাংলাদেশের উগ্রবাদ উপস্থিতি নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শুধুমাত্র একটি দল ছাড়া বাকি সবাই উগ্রবাদী। তাদের (ভারতের) এই ন্যারেটিভটা (মতাদর্শ) পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
তৌহিদ হোসেন বেলেন, দ্বিতীয় কথা হলো- আমাদের কাছে যে তথ্য আছে এখানে উগ্রবাদীরা বিরাট কিছু করে ফেলছে; এ রকম না। সরকারে যারা আছেন তাদের কারও এ ধরনের কোনো অ্যাজেন্ডাও নেই, এরকম কোনো ব্র্যাকগ্রাউন্ডও নেই। আমার মনে হয়, তাদের এ বক্তব্য থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। এটা দুদেশের সম্পর্কের জন্য ভালো হয়।