প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৪
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
চলমান এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে এই তথ্য জানান তিনি।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত থাকা বিষয়গুলোর পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হবে না। এখন পর্যন্ত যে সব বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে এসব বিষয়ের পরীক্ষার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর পুনরায় পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পেছানো হবে।
তবে শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। তারা বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল চান। কারণ তারা মনে করেন অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অনেকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অবশেষে তাদের দাবির মুখে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হলো। ওই বিষয়গুলোর মার্কিং কীভাবে হবে তা পরে জানানো হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, পরীক্ষা বাতিলের এক দফা দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘আমাদের দাবি একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম’, ‘পরীক্ষা না বিকল্প, বিকল্প-বিকল্প’, ‘যুক্তি দিয়ে আন্দোলন-বন্ধ করা যাবে না’, ‘চলছে লড়াই-চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।
পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা স্থগিত ও পেছানো হয়। সর্বশেষ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষার সময় দুই সপ্তাহ পিছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের পরীক্ষার বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।