প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গভবনের দরবার হলে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শপথ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।
আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ পদে নিয়োগ দেন।
এর আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। পরে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে দিয়ে দেশে এক দিনেই আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। পদত্যাগ করা প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য পাঁচ বিচারপতি হলেন- এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
এরপর বিচারপতি আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের দেওয়া হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি করার জন্য আলটিমেটাম দেয়। পরে তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। দেশের বাইরেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তার আগে ১৯৮৪ সালে জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত ইশতিয়াক আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। আর মা প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।
তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সাবেক দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খ্যাতনামা আইনবিদ প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের পুত্র।