প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রুপরেখা নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের একটি দল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বর্তমানে তাদের বৈঠক চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে দায়িত্বশীল একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, বৈঠক শুরু হয়েছে এবং চলমান আছে। তবে বৈঠক কখন শেষ হবে সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৩ সদস্যের একটি টিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিনবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন রয়েছেন। আলোচনা শেষে আমরা বিস্তারিত জানাব।’
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি কোস্টার বাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়কসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর ঠিক এক ঘণ্টা ৩৩ মিনিটে পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা একটি গাড়ি বহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। বহরে ১০টির বেশি গাড়ি ছিল।
এরপরই শুরু হয় বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বৈঠক।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়।
ভিডিও বার্তায় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।
তার আগে সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান প্রধান নেতারা।
প্রসঙ্গত-সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের আন্দোলনের একপর্যায়ে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ ও সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি দেন আন্দোলনকারী। বিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।