Print

সারাদিন

১৪ দিন পর চালু হলো ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৪

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতা ঘিরে বন্ধ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ১৪ দিন খুলে দেওয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো মাধ্যমগুলোর ওপর জারি করা সরকারি বিধিনিষেধ বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে তুলে নেওয়ার পর চালু হয় এগুলো। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতামূলক কনটেন্ট প্রচার ও নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন না মানায় এগুলো প্রচারে সরকারি বিধিনিষেধ ছিলো।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশ থেকেও স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবহার করা যাচ্ছে এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। এদিন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের প্রতিনিধিধের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিটিআরসির পক্ষ থেকে যেসব স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়ে সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম, সার্বিক বিবেচনা করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়িক সম্প্রদায়, স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকদের কথা চিন্তা করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছি, সেই বিধিনিষেধ আমরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমরা আর কোনো বাধা রাখছি না। সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’

‘আশা করি বিকেলের মধ্যে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারবো। আমরা দেখেছি, এসব বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের কারণে আমাদের ব্যান্ডউইথ ট্রাফিক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেটা নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি, অপরদিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতি’— যোগ করেন তিনি।

বুধবার সকালে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে মেটার প্রতিনিধি হিসেবে কারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। এরপর থেকেই দেশের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছিলেন না।
পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সেবা চালু হয়। পরে বাসাবাড়িতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। বন্ধের ১১ দিন পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেটও।

Nagad
Nagad