প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২৪
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের কর্মব্যস্ততা। আমন চারা রোপণের পূর্ণাঙ্গ বয়স হওয়ায় ধান চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে আমন চারা রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। আমনের জমি তৈরি করতে সেচ দেয়া, হালচাষ, আইল বাঁধা ও আইলের সাইড কেটে জমিকে আমন চাষের উপযোগী করছেন।
কৃষকরা জানান, বন্যার পানি নেমে যেতেই আমরা আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছি। তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল-সন্ধ্যা মাঠে কাজ করছেন। তারা জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ধান লাগানো শেষ হবে।
উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের কইকুড়ি বিলের কৃষক এনামুল ও তৈয়ব আলী বলেন, বন্যার পানি থাকায় উঁচু জমিতে এক মাস আগে আমন ধান বীজ তলায় ছিটানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেই চারা তুলে পুনরায় অন্য জমিতে রোপণ করা হয়। সেই চারা আমনের জমিতে রোপণ করা হয়। এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা আমন চাষের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাথরডুবির মইদাম গ্রামের কৃষক ইন্তাজ আলী ও তার সন্তান আব্দুল জলিল জানান, আমরা এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবো। চারা প্রস্তুত করা আছে। জমিতে পানি কম থাকায় চারা রোপণে দেরি হচ্ছে। দু’একদিনে বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণ শুরু করবো।
চর-ভুরুঙ্গামারীর ইসলামপুর গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক রিয়াজুল হক বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে আমন ধান লাগাবো। এসব জমিতে বিঘা প্রতি চারা রোপণে দিনমুজুর খরচ ২০০০ টাকা, হালচাষ ১২০০ টাকা, সেচ, সার, বীজতলা তৈরি মিলে বিঘা প্রতি প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ১৫-১৬ মন ধান পাওয়া যায়, তাতে চাষের খরচ বাদে কিছু লাভ থাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৮৫৫হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার স্বল্পমেয়াদী আমন ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৪শ ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা শেষ হয়েছে। সরিষার চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল স্বল্পমেয়াদী আমন জাত চাষ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন আছেন তারা কৃষকদের উদ্বদ্ধু করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।