প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন,২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিল করার পর বিগত চারটি বিসিএসে কোটা নয়, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ৪০ তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা সুবিধা প্রয়োগ করা হয়নি৷
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবছরই বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পনের বছরে ২৮তম থেকে ৪৬তম পর্যন্ত মোট আঠারোটি বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ টি বিসিএস এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ ৪৩তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হয়ে গেছে, এখন শুধু নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হওয়া বাকী৷ অপেক্ষমান রয়েছে আরও তিনটি বিসিএস। অল্পসময়ের মধ্যে এতগুলো বিসিএস পরীক্ষা বিগত কোন সরকারের আমলেই হয়নি।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকালে আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি এসব কথা বলেন৷
চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসে আদালত কোটা বহালের রায় প্রদান করলে, সরকার তার বিরুদ্ধে আপিল করে৷ সুতরাং যারা আন্দোলন করছে তাদের পাশে তো সরকার আছে৷ তাহলে দেশে কেন এত তান্ডব হচ্ছে! কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কারা ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে! আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন৷ আদালতের কোন বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারেনা৷ তাই আন্দোলন নয়, আদালতের মাধ্যমেই কোটা ব্যবস্থার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে৷ আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, রাজাকার শব্দটি তাদের কাছে অত্যন্ত ঘৃণিত শব্দ। নিজেকে রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক। আমার সন্তান সমতুল্য ছাত্র-ছাত্রীরা যখন নিজেকে রাজাকার দাবী করে স্লোগান দিচ্ছে, পিতা হিসেবে এটা আমার জন্য লজ্জারও বটে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকল সেক্টরে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে৷ কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে৷ মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায়ই দুই হাজার আটশ মার্কিন ডলার৷ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান করা৷ ২০১৫ সালে আমরা যেমন এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছি, ২০৩০ সালে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।