প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে যত আন্দোলন-সংগ্রাম করা হোক না কেন, সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না।
তিনি বলেন-“আমরা মনে করি, বিষয়টি (কোটা সংস্কার) যেহেতু আদালতে গেছে এবং সেটা এখন বিচারাধীন, সরকার এমন মুহূর্তে কী করতে পারে? হ্যাঁ, অপেক্ষা করতে পারে যে, আদালত থেকে কী পরামর্শ বা রায় আসে, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা। সেটাই আমরা এখন করছি।”
মঙ্গলবার (১৬জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন এবং জননেত্রীর কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ : বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
আন্দোলনকারী উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন এটা মনে রাখবেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না। সেই আদর্শটা কী? বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করতে পারবে না।”
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সেমিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “আমি যেহেতু ক্যাম্পাসে থাকি, ঘটনার সময় মনে হচ্ছিল পাকিস্তান কলোনিতে আছি। ওইদিনের আগেও অনেক মেয়েকে দেখেছি ‘‘আমি রাজাকার” লিখে বসে ছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে খুবই অপমানজনক স্লোগান দিচ্ছিল।”
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী এবং সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও এক দফা দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে একই সময়ে প্রতিবাদ সমাবেশ পালনেরও ঘোষণা দিয়েছে এই সংগঠন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।