প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় তিনি বলেন-ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে এক যোগে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ‘এ’-ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এ সময় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে।
শনিবার (০১ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে জাতীয় (নিপসম) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানোর ফলে এর অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নেমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হার ও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দেশবাসী সবার কাছে আবেদন একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে। যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের বিনামূল্যে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তিনিই প্রথম অনুধাবন করেছিলেন, শিশুদের রাতকানাসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন খাওয়ানো ছাড়া উপায় নেই।
এর আগে, বেলুন উড়িয়ে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবার, সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। এ হিসেবে এবার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সারাদেশের মোট ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন।