প্রকাশিত: ২:২৯ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন। বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে। সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে?
দেশের রিজার্ভ নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি। ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের যে প্রবণতা। এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।
সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না। আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এর ফলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশাকবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
এ সময় বিএনপিকে অনেকটা উপহাস করে কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।