প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন – গত ১৫ বছরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস না করার অজুহাতে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী প্রতিদিন পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অবিচারের শিকার হচ্ছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিয়ে বিএনপির সন্দেহ জানিয়ে-গয়েশ্বর রায় বলেন, একদিকে ভারতের সীমান্তে হত্যা, অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট সংঘাতে বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারে। ব্যর্থতা দূরে রাখতে সরকার নিজেরাই বাহিরের শক্তিকে নিয়ে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।
বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতি প্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে ।
গয়েশ্বর রায় এসময় বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে আদায় করেছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন।
গায়েবি মামলায় কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিএনপি ও সব অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধ্য করা হচ্ছে হাতকড়া-ডান্ডবেড়ি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাবা-মার জানাজায় অংশ নিতে।
তিনি আরও বলেন, বাড়িতে বাড়িতে চলছে ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ অভিযান ও হামলা। লুটে নিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্থাপনা-সম্পদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইমলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুদ্দিন আহমেদ, আবুল খায়ের ভুইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।