প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
রমজানে যেসব পণ্যের প্রয়োজন হয় দেশে সেগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারপরও কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রমজান আসছে, আমরা লেটেস্ট কারেন্ট সিচুয়েশন দেখলাম, কোনো পণ্যের শর্টেজ নেই। রজমানের সময় যেসব আইটেম লাগে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। শর্টেজেরও কোনো কারণ নেই। কিছু মহল চেষ্টা করে কীভাবে সিচুয়েশনকে ডি-স্ট্যাবলাইজ করা যায়। যেখানে মার্কেট ইকোনমি অপারেট করছে সেখানে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেই।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজার্ভ বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, করছি তো আমরা। আপনারা দেখছেন আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স তাদের সঙ্গে মাল্টি কারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না।
বেসরকারি খাত সংকটের মধ্যে আছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কি চলতে পারছে, আপনি কি মনে করেন? অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট সেক্টর তো প্রাইভেট সেক্টর। সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আর মাল্টিপল অ্যাপ্রোচ ছাড়া তো অন্য কিছু করা যায় না। তবে ব্রড সেক্টরগুলো আন্ডার কন্ট্রোলড আছে।
এসময় ডলার সংকট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রজমানের যেসব পণ্য আমদানি করি গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৮টি প্রোডাক্টের যত এলসি হয়েছিল, এবার তার থেকে ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি হয়েছে। পণ্যগুলো সময়মতো দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী সমস্যা না করলে পণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।
এ দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় ভোজ্যতেল, চিনিসহ আমদানিনির্ভর ভোগ্যপণ্যের শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য শিগগির জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ডলার নিশ্চিত করা না গেলে অন্যান্য মুদ্রায় আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে উৎপাদন ও আমদানি পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যৌক্তিক পণ্যমূল্য নির্ধারণে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।