প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
পারিবারিক সূত্রে জাতীয় পার্টিতে শেরীফা কাদের, আওয়ামী লীগে বিস্ময় হেনরী
এবার নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) তাদের ২৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে শেরীফা কাদেরসহ ৯ জন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে জাপার নারী প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র শেরীফা কাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় ঢাকায় আসন পেয়েছেন। ঢাকা–১৮ আসনে প্রার্থী তিনি। স্বামীর কারণে পারিবারিক সূত্রেই রাজনীতিতে নাম লেখান শেরীফা কাদের। তাঁর স্বামী জি এম কাদের জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হলে তিনি দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এখন তিনি সমঝোতার আসনে প্রার্থী। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর জাপার বনানীর কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থানসহ অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটে। এর আগে ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে দফায় দফায় আলোচনায় জাপাকে ২৬টি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ঢাকার কোনো আসনে ছাড় না দেওয়ায় জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে সময় এমন আলোচনাও চলছিল। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে শেরীফা কাদেরের ঢাকা-১৮ আসনটি নিশ্চিত হওয়ার পরই জাপা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার ২৪ জন নারীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে একজন বাদ পড়েছেন এবং দুজন জোটের কারণে ভোট থেকে সরে গেছেন। যে ২১ জন ভোটের মাঠে আছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। আবার বাবা কিংবা স্বামীর কারণেও অনেকে ভোটে। জান্নাত আরা হেনরীসহ কারও কারও মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে দলের নেতাদেরও কেউ কেউ কিছুটা বিস্মিত। সূত্র: প্রথম আলো
বিদায় ২০২৩ সাল
অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব সর্বত্র
► গৃহিণীর রান্নার উপকরণ থেকে শিল্পের কাঁচামালে টান ► কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসেনি নিত্যপণ্যের দাম ► বাড়েনি আয়,উল্টো ঝুঁকিতে ছিল কর্মসংস্থান
বিদায়ি বছরে অর্থনৈতিক সংকটের আঘাত লেগেছে সর্বত্র। গৃহিণীর রান্নার উপকরণের যেমন টান পড়েছে, তেমনই শিল্প-কারখানাগুলোতে মেলেনি প্রয়োজনমতো কাঁচামাল বা জ্বালানি। সব পর্যায়েই ছিল ঘাটতি। ঘাটতি মেটাতে হিমশিম খেয়েছে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।বিদায়ি বছরজুড়ে পরিবারের নিত্যপণ্যের ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে চিকিৎসা, শিক্ষা, যাতায়াতসহ সব ব্যয়ের চাপ। অথচ বাড়েনি আয়, উল্টো ঝুঁকি তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থানে। বিনিয়োগ না বাড়ায় কর্মসংস্থান অনেক ক্ষেত্রে সংকুচিতও হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে ২০২৩ সাল। বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতির কষ্টের পাশাপাশি মেট্রো রেল বা কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় অবকাঠামোর কারণে যোগাযোগে বিশাল সুবিধাও মিলেছে। তবে জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত বিপুলসংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষ দ্রব্যমূল্যের কষ্ট ভুলতে পারেনি।নিত্যপণ্যের বাজার দৃশ্যত ছিল নিয়ন্ত্রণহীন পাগলা ঘোড়া। সূত্র: কালের কণ্ঠ
বৈশ্বিক ও দেশীয় সংকটের প্রভাব
ডলারের বিপরীতে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়ন
বৈশ্বিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব ও দেশীয় মন্দার কারণে চলতি বছরজুড়েই দেশের বাজারে ডলারের প্রকট সংকট ছিল। চড়া দাম দিয়েও ডলার পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মানে রেকর্ড অবমূল্যায়ন হয়েছে। ডলারের দামের হেরফেরের কারণে বিভিন্ন হিসাবে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে বিভিন্ন হারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে গত এক বছরের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ব্যাংকগুলোতে ডলারের দামের হিসাবে অবমূল্যায়ন হয়েছে ২২ শতাংশ। খোলাবাজারে ডলারের দামে অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৯ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে টাকার মান ওই হারে কমলেও চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ডলার মিলছে না।এদিকে ২০২২ সালে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছিল ২১ দশমিক ২১ শতাংশ। বছরের শুরুতে ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। বছর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা। আলোচ্য সময়ে এর দাম বেড়েছে ১৮ টাকা ২০ পয়সা। ওই সময়ে ডলারের দাম বেশিরভাগ সময়ই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু চলতি বছরের শেষদিকে বেশিরভাগ সময়ই ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যা এখনো চলমান রয়েছে। দুই বছর ধরেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর মধ্যে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি কমেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ করলে বৈশ্বিক সংকটের শুরু। তখন এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে শুরু করে। এ হিসাবে গত দুই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে হয়েছে ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকগুলোতে ডলার বেচাকেনার গড় হিসাবে অবমূল্যায়ন হয়েছে ৪৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। সূত্র: যুগান্তর
বছর শেষে হতাশ ব্যবসায়ীরা
ডলার সংকটে এলসি জটিলতা, পণ্যের দাম বাড়ায় বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে
মহামারি করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট ডলার সংকট দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে পণ্যের দাম বাড়ায় বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে। সব মিলিয়ে ২০২২ সাল ভালো যায়নি ব্যবসায়ীদের। উদ্যোক্তারা বলছেন, ডলার সংকট যত তীব্র হয়েছে, কাঁচামাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার তত কমেছে। ফলে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। এ সংকট কাটাতে হলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। হুন্ডি ব্যবসা ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন নয় বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। ডলার সংকটের কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে আমদানির ওপর বেশ কিছু কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় অনেক ব্যাংক আমদানিতে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে পারছে না। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন আমদানিকারকরা। কারণ খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি- বেশির ভাগ পণ্যই আমদানি করা হয়। এসব শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়েও এলসি জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন কারখানার মালিকরা। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বেড়েছে। বছরের শুরুর দিকে শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ার পর বেড়েছে কারখানায় উৎপাদন খরচ। এসব কারণে সংকটে পড়েছে দেশি অনেক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। ফলে একদিকে দেশি বাজারে বেড়েছে পণ্যের দাম, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানি নিয়ে জটিলতায় উৎপাদন অব্যাহত রাখাও কঠিন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত আমদানির ঋণপত্র খোলা কমেছে ১৮ শতাংশ। আর ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ২২ শতাংশ। জুলাই-আগস্ট সময়ে ১ হাজার ৫২ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ১ হাজার ২৮৫ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। অন্যদিকে গত দুই মাসে ১ হাজার ১৭৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ১ হাজার ৫১৪ কোটি ডলারের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছিল। যদিও ডলার সংকটের মধ্যে শিল্পের কাঁচামাল ও জ্বালানি আমদানি স্বাভাবিক রাখতে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তাই ডলার সংকট সমাধান এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উৎপাদনব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। জানা গেছে, গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়। এরপর ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। ফলে কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, এসবের দামও বেড়ে গেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এর প্রভাব পড়ছে পুরো কৃষি খাতে। এদিকে দাম বেড়ে বিক্রি কমেছে গাড়ির ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে কৃষি ও নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক পণ্যের ছাঁচ, নাট-বল্টু, বেয়ারিংয়ের। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
হার্টের রিংয়ের দাম সমন্বয়ে জাতীয় কমিটির বৈঠক
হৃদরোগের জরুরি চিকিৎয় ব্যসাবহৃত রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম নিয়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দাম সমন্বয়ে জাতীয় কমিটি নিয়ে জরুরি বৈঠক শুরু করেছে অধিদপ্তর। বৈঠকে দাম নির্ধারণে জাতীয় কমিটির ১৩ সদস্যে বাইরে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে হার্টের রিং সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডাকা হয়নি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হার্টের স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে, যা আগের চেয়ে কম। ১২ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত দামে স্টেন্ট বিক্রি করতে হবে।এতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোম্পানির ক্ষেত্রে ‘মার্কআপ ফর্মুলা’ অনুসরণ করা হলেও রিং সরবরাহকারী ইউরোপের ২৪টি কোম্পানিকে এ তালিকায় রাখা হয়নি। দাম নির্ধারণে বৈষম্যের অভিযোগ এনে সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডাক দেয়। এটি এখনও চলমান রয়েছে। এতে সঠিক আকৃতির রিং না পাওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। রোগীদের যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে, তেমনি দ্বিগুণ দাম দিয়ে রিং কিনতে হচ্ছে। সংকট নিরসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হৃদরোগ বিভাগ থেকে উপাচার্যের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্র: সমকাল
‘সফল’ মন্ত্রী ‘ব্যর্থ’ এমপি
আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে যারা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বা আছেন, তাদের অনেকেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। এই মেয়াদের কয়েকজন মন্ত্রীও এলাকায় বিতর্কিত কর্মকান্ড করে সমালোচিত হয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি না থাকলেও তারা আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি), সরকারের পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সফলতা দেখিয়েছেন। সমালোচনা, বিতর্ক এসব থেকে দূরেই থেকেছেন সব সময়ই। সারা দেশে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। শিক্ষিত-মার্জিত হিসেবে সুখ্যাতিও আছে শাহরিয়ার আলমের। কিন্তু জনপ্রিয় হতে পারেননি নিজের নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে। জনপ্রিয়তা খুইয়েছেন নিজের দলের নেতাকর্মীদের কাছেও।
এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ রাত সোয়া ৮টায় তাকে ফোন করা হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর
অভিমতঅর্থনীতির ভবিষ্যৎ রাজনীতির ওপর
দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডলারের ঘাটতি, রিজার্ভের পতন, গ্যাস ও জ্বালানির দুষ্প্রাপ্যতা, পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শর্ত, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ, তারল্য ঘাটতি, সুশাসনের অভাব, গৎবাঁধা রাজস্ব ব্যবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এর মধ্যে অন্যতম। নতুন অনুষঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন থেকে বের হওয়ার নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের নির্বাচন দেশের অর্থনীতিতে একটা প্রভাব ফেলার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, এসব মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য সুশাসন ও জবাবদিহি প্রয়োজন; যা নির্ভর করবে পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট বা রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞার (জবাবদিহি) ওপর। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নতুন বছরে কিছু ভালো খবর থাকলেও মন্দ খবরের ঘাটতি নেই। উত্তরাধিকারসূত্রে কিছু সংকট নিয়ে যাত্রা হতে যাচ্ছে নতুন বছরের; বিশেষ করে মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি, আর্থিক খাতের অনিয়ম, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যালান্স শিটের ভারসাম্যহীনতা, তারল্য ঘাটতি এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইনের শাসন প্রয়োগের অভাব। এসব মোকাবিলার জন্য আইন করে বসে থাকলে হবে না। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।
সরেজমিন সিলেট: নৌকার ‘নজর’ বিএনপি-জামায়াতের ভোট ব্যাংকে
সিলেট শহর থেকে সড়কপথে আধাঘণ্টার দুরত্ব গোলাপগঞ্জ আর বিয়ানিবাজার উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে সিলেট-৬ আসন। গোলাপগঞ্জ মোড়ে আসতেই সেখানেই নির্বাচনে অংশ নেয়া সকল প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার দেখা গেলো। যদিও সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন উত্তাপ কিংবা প্রার্থী সমর্থকদের প্রচারণা চোখে পড়লো না।তবুও সিলেটে যে আসনটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে অনেকে বলছেন সেটা এই সিলেট-৬ আসন।এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার বিরুদ্ধে নিজ দলেরই একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।তবে এই আসনটি নিয়ে আলোচনার কারণ হচ্ছে, বিএনপিবিহীন নির্বাচনে এখানে বিএনপি’রই সাবেক একজন হেভিওয়েট নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী নির্বাচন করছেন। যদিও তার দল তৃণমূল বিএনপি। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
বই উৎসব উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন তিনি।এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাংলানিউজ
বিদেশে কর্মী যাওয়ার রেকর্ড, ছিল ‘অস্বস্তিও’
প্রায় দুই বছর ধরে প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে গড়ে এক লাখের মতো কর্মী বিদেশ যাচ্ছেন। চলতি বছরের ১১ মাসে ১২ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থানে হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে এক বছরে বিদেশে যাওয়ার রেকর্ড। যা গত বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালে বিদেশে গেছে ১১ লাখ ৩৫ হাজার কর্মী। বিদেশে কর্মী যাওয়ার রেকর্ড সুখকর হলেও অস্বস্তিও ছিল শ্রমবাজার নিয়ে। কেননা, যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে কর্মীর কাজ না পাওয়ার দুর্ভোগ এবং বাংলাদেশের জন্য ওমানে সব ধরনের ভিসা স্থগিত করা সংশ্লিষ্টদের কপালে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তবে বছরের শেষপ্রান্তে বাংলাদেশিদের জন্য চার বছর পর মালদ্বীপের শ্রমবাজার খোলার সুখবরও ছিল। সূত্র: ঢাকা পোস্ট