প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। ইশতেহারে বৈষম্য নিরসন, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন দমন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ২৮ দফা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলটি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য নূর মোহাম্মদ বকুল এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কাস পার্টির আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, মোস্তফা আলমগীর রতন, কামরুল হাসান, এনামুল হক এমরান প্রমুখ।
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আগে নূর আহমেদ বকুল বলেন, ‘আমরা ১৪ দলের শরিক সংগঠন, জোটগতভাবেই নির্বাচন করছি ৷ পাশাপাশি আমরা আলাদাভাবেও প্রার্থী দিয়েছি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ২৩ জন প্রার্থী দলীয় প্রতীকে হাতুড়ি মার্কায় নির্বাচন করছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তার নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সার্বিকভাবে দেশ পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করছে।’
এ ছাড়া কমরেড রাশেদ খান মেননসহ দলটির দুই সদস্য প্রার্থী জোটের অধীনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বলেও জানান তিনি।
নুর আহমদ বকুল সাংবাদিকদের জানান, ওয়ার্কার্স পার্টির নিজস্ব প্রতীক হাতুড়ি মার্কায় ২৩ জন প্রার্থী ও জোটের প্রার্থী ২ জন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ২৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহারে ১৪৪টি উপধারায় আর্থ—সামাজিক অবস্থার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন জাতীয় সংসদকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকারকে স্মরণ করিয়ে বলা হয়, এই নির্বাচনে যে কোনো ধরণের ব্যর্থতা বিএনপি— জামাতসহ বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্রের পথকে প্রশস্ত করবে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির সমালোচনা করে নূর আহমেদ বকুল বলেন, ‘কোনো অসাম্প্রদায়িক ধারা বাংলাদেশে আর ফিরতে দেওয়া উচিত হবে না। সাংবিধানিক ধারায় একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির চলমান প্রবাহকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারের ২৮ দফা
দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন দমন; দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ; রাজনৈতিক লক্ষ্য, বৈষম্য নিরসন আইন প্রণয়ন, শোষণ মুক্তির লক্ষ্যে আইন ও বিধি প্রণয়ন; সামাজিক ক্ষমতায়ন; আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও নগরের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন; নারীর ক্ষমতায়ন; শিশু-কিশোর অধিকার; শিক্ষার অধিকার; স্বাস্থ্যসেবা; কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা; শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান; শ্রম অধিকার ও সর্বনিম্ন মজুরি; শ্রম অভিবাসন ও প্রবাসী কল্যাণ; বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি; জ্বালানি ও খনিজ; জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা; নদী ও পাহাড় সংরক্ষণ; সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিরাপদ সড়ক; রোহিঙ্গা সমস্যা; প্রতিরক্ষা; পররাষ্ট্র; আঞ্চলিক জোট; ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন; ন্যাটোর সম্প্রসারণে বিরোধিতা; সাম্রাজ্যের বিরোধিতা।