প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যেটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পাঁচ জেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ভোটে বিশ্বাস করি, তাই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমরা ক্ষমতায় এলে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে মডেল মসজিদ তৈরির পাশাপাশি মন্দির, প্যাগোডা তৈরি করেছি। দেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে সে পরিবেশ তৈরি করেছি। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। কেউ যেন জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয়, সেটার ব্যবস্থা নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ভোটের কী বুঝে। তাদের জন্ম এক অবৈধ দখলকারির পকেট থেকে। এ কারণে বিএনপির সকল কাজই অবৈধ। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারছে। এটা শুরু করেছে ২০১৩ সাল থেকে যেটা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা ট্রেনের কোচ চালু করেছি মানুষের শান্তিতে চলাচলের জন্য। কিন্তু ট্রেনের কোচকে আগুন দিয়ে ছোট্ট শিশুসহ মাকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছে। মানুষের শান্তি দেখলে বিএনপি অশান্তি জাগে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি আমাদের নির্বাচন। এ মাস বিজয়ের মাস। এ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি। আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন যাতে করে আমরা দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারি। এবারের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যেন সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেবেন। আমার দলের কেউ বিশৃঙ্খলা করলে মারামারি করলে কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা প্রত্যয় নিয়েই আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছানো। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করে তাদের জীবন উন্নত করা। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল, জনগণের অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতেই এই প্রত্যয় নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেছিলাম। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই- উতরাই পার হতে হয়েছে আমাদের। তারপরও থেমে থাকিনি। মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তারপর আমরা ২১ বছর পর সরকারে আসি। আর জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। এরপর থেকেই দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার সরকারে আসতে পারলাম না। কারণ হলো আমাদের গ্যাস বিক্রির একটা প্রস্তাব ছিল, বড় একটি দেশ থেকে। তখন আমি বলেছিলাম, এটি দেশের জনগণের সম্পদ, এটি আমি বিক্রি করতে পারবো না। তবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছে ৩৩টি সিট ও আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৩ টি সিট, ওরা ভোটের কী বুঝে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। দেশে এমন কোন এলাকা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, বদলে গেছে বাংলাদেশ। দেশের ২১টি জেলায় ও ৩৩৪ উপজেলা বর্তমানে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত।