ইসরায়েলের হামলা:
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়েছ যাচ্ছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদীদের বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।
সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেখানে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে।
সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক রিচার্ড ব্রেনান বলেছেন, তিনি গাজার হতাহতের পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষক হেলেন ল্যাকনার আল-জাজিরাকে বলেছেন, প্রতিটি ঘণ্টা পার হচ্ছে, তা আরও একটি ঘণ্টা যেখানে শত শত ফিলিস্তিনি বোমা হামলার শিকার ও নিহত হচ্ছে। প্রতিটি বিলম্বই একটি বিলম্ব, যা ইসরায়েলিদের তাদের নিরলস বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে দেয়।
সবশেষ বুধবারও মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হওয়া ছাড়াও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক শতাংশই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া ৩১০ জন চিকিৎসা কর্মী, ৩৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৯৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।