প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
হিটলারের ‘মাইন ক্যাম্ফ’ পড়িনি: ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কখনো জার্মানির নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বই ‘মাইন ক্যাম্ফ’ পড়েননি। অভিবাসীদের আক্রমণের জন্য ট্রাম্প তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ট্রাম্পের অভিবাসীদের আক্রমণের এই দিক হিটলারের নাৎসি দর্শনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন কেউ কেউ। সমালোচনা সত্ত্বেও দমছেন না ট্রাম্প। তিনি বরং তাঁর অভিবাসীবিরোধী জ্বালাময়ী বক্তৃতা দ্বিগুণ করেছেন। সবশেষ গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, এটা সত্য যে তারা (অভিবাসীরা) তাঁদের দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) রক্তকে দূষিত করছে। এটাই তারা করছে। তারা (অভিবাসী) তাঁদের দেশকে (যুক্তরাষ্ট্র) ধ্বংস করছে। সূত্র: প্রথম আলো
গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা জাগছে
বেশ কয়েক দিনের অচলাবস্থার পর গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মিসরে গেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। এদিকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ বলেছেন, তাঁরা আরেকটি ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’ দিতে প্রস্তুত আছেন। হামাস ও ইসরায়েলের এমন মনোভাব গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতির আশা জাগাচ্ছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গতকাল আবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। আগের ভোটগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে নাকচ হয়ে যায়।প্রতিবেশী মিসরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গতকাল কায়রো পৌঁছান হামাস নেতা হানিয়া। তিনি সাধারণত কাতারে অবস্থান করে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন ও অন্যান্য বিষয়ে’ আলাপ-আলোচনা করতে ইসমাইল হানিয়া কায়রো গেছেন।হানিয়ার মিসর সফরে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে নতুন করে তৎপরতারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত মাসে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলকে সম্মত করতে কাতারের পাশাপাশি মিসরও মধ্যস্থতায় সহযোগিতা করেছিল। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ভারতজুড়ে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভ কাল
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালে বিরোধী দলের আরও দুই সংসদ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারা হলেন– থমাস ছাঝিকাদান ও এ এম আরিফ।প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও সংসদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের সাসপেন্ড করা হয়। এ নিয়ে ভারতীয় পার্লামেন্টের ১৪৩ জন বিরোধী আইনপ্রণেতা সাসপেন্ড হলেন। তাদের মধ্যে নিম্নকক্ষ লোকসভার ৯৭ জন এবং উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ৪৬ সদস্য রয়েছেন। ভারতের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত আইনপ্রণেতাকে একসঙ্গে সংসদের বাইরে পাঠানো হয়নি। চলমান পরিস্থিতিতে আগামীকাল শুক্রবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের সরকারবিরোধী ইন্ডিয়া জোট। ভারতজুড়ে বরখাস্ত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার দিল্লিতে জোটের বৈঠক থেকে এ ঘোষণা দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৈঠকে ভারতের প্রধান প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিয়াল ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ছিলেন। জোট গঠনের পর এটা তাদের চতুর্থ বৈঠক। বিরোধীহীন সংসদে মঙ্গলবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে ছয়টি বিল উত্থাপন করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এর মধ্যে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকসভায় তিনটি বিল পাস হয়েছে। বিলগুলো হলো– এনসিটি অব দিল্লি ল’জ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল; সেন্ট্রাল জিএসটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল এবং প্রোভিশনাল কালেকশন অব টেক্সেস বিল। পরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষিয়া বিল আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন। এ তিন বিলই ব্রিটিশ আমলের আইনের সংস্কার করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল
গাজায় বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ইসরাইলের
গাজাবাসীকে মিসরের সিনাই উপদ্বীপে বিতাড়িত করা পরিকল্পনার খসড়া গোয়েন্দামন্ত্রীর
বিধ্বস্ত গাজার চারদিকে শুধু ধ্বংসের স্তূপ। ধ্বসে পড়া ইট-পাথরের নিচে কত শত লাশ পড়ে আছে তা অজানা। ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহতের রক্তের দাগে ভিজে আছে মাটি। এত এত হত্যাযজ্ঞের পর সেই মাটিতেই আবার নিজের স্বপ্ন পূরণের নীলনকশা আঁকছে ইসরাইল। নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা এগোচ্ছে পুরোদমে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধের মধ্যেই এমন ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলে রাষ্ট্রীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হ্যারে জাহাভ। সোমবার আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সৈকত বাড়ি’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কোম্পানির বিজ্ঞাপনে স্লোগান দেওয়া হয়েছে-‘সৈকতে বাড়ি স্বপ্ন নয়’। নীরবে নয় বরং বিশ্বকে দেখিয়েই পরিকল্পনাগুলো করছে। বরাবরের মতো এই ভূখণ্ড দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে না কেউই। মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে বিশ্ব। অথচ হামলার শুরু থেকেই গাজা পুনঃদখলের কোনো ইচ্ছা নেই বলে বড় গলায় ঢাক পেটাচ্ছে ইসরাইল। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ১৫ অক্টোবর সিএনএনকে বলেন, ‘গাজা দখল অথবা সেখানে থাকার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। হামাস আমাদের হুমকি। এজন্য হামাসকে নিশ্চিহ্ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ মুখে মুখে গাজা দখলের ইচ্ছে নেই বললেও এটাই যে তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য এবার তারই প্রমাণ দিল ইসরাইল। ইংল্যান্ডের কর্মী সারাহ উইলকিনসন মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ‘একটি ইসরাইলি রিয়েল এস্টেট ফার্ম ইতোমধ্যেই গণহত্যাকে অর্থায়ন করছে। ইসরাইলের বোমা হামলায় সৃষ্ট গাজার সমতল ভূমিতে বসতি নির্মাণের নকশা তৈরি করছে।’ সূত্র: যুগান্তর
নির্বাচনের আগে এক টেবিলে মোদি-মমতা
অবশেষে নির্বাচনের আগে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল সকালে সংসদ ভবনে এ বৈঠক করেন তারা। এ সময় মমতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ তার দলের ১০ জন সংসদ সদস্য। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোদিকে ধন্যবাদ জানান মমতা। বকেয়া টাকার দাবি জানাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে, তখন এই সাক্ষাতে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মমতার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে ভোলেননি মোদি। মুখ্যমন্ত্রীর শরীর-স্বাস্থ্যের খবরও নিয়েছেন তিনি।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মমতা বলেন- বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত। সময়ের মধ্যে যেন আলোচনা শেষ হয়। নইলে বাংলার গরিব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘হ্যাঁ, সময় বেঁধে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
রাশিয়ার হৃৎপিণ্ডে তীক্ষ্ণ সুই ঢুকিয়ে দেওয়া হবে: ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাপ্রধান
রাশিয়ার অভ্যন্তরে ব্যাপক অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেনের গোয়েন্দারা। তাদের লক্ষ্য ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ রাশিয়ার অভ্যন্তরে, সম্ভব হলে ক্রেমলিনের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। রাশিয়াকে এমন আঘাত হানা হবে যাতে তারা, অনুভব করতে পারে যে—তাদের হৃৎপিণ্ডে তীক্ষ্ণ সুই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া এক লিখিত সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ-এর প্রধান মেজর জেনারেল ভাসিলি মালিয়ুক এই হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তো আমাদের পরিকল্পনা ফাঁস করতে পারি না। তবে আমাদের পরিকল্পনা শত্রুদের হতবাক করে দেবে।’ জেনারেল মালিয়ুক রুশদের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘দখলদারদের বুঝতে হবে লুকানো সম্ভব হবে না। আমরা সব জায়গায়ই শত্রুদের খুঁজে বের করব।’ তবে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা রাশিয়ায় কী ধরনের অভিযান চালাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। যেমন, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ডে রুশ সম্পদ, বিশেষ করে সামরিক সম্পদের ওপর হামলা চলবে অব্যাহতভাবে। এমনকি প্রয়োজনে রাশিয়ার অভ্যন্তরেও হামলা চালানো হতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
চীনে সোমবারের ভূমিকম্পে এখনও নিখোঁজ অনেকে
সোমবার চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এ ঘটনায় গানসুতে বুধবার পর্যন্ত ১১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৭৮২ জন। গানসুর সঙ্গে কিংহাই প্রদেশের সীমান্তবর্তী একটি দুর্গম এবং পাহাড়ি এলাকায়ও আঘাত হানে ভূমিকম্প। সেখানে আরো ২২ জনের মৃত্যু ও ১৯৮ জনের আহত হওয়ার খবর দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অন্তত এক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে ওই এলাকায় উদ্ধার অভিযানের কোনো তথ্য দিতে পারেনি রয়টার্স। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধার অভিযান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অবশ্য চীনা গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানায়, গানসুতে অনুসন্ধান এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। প্রদেশটিতে ২ লাখ ৭ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভূমিকম্পে দেড় লাখের কাছাকাছি সংখ্যক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে
৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সংঘাত শুরুর পর থেকে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি বাদে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিজিওনাল ইমারজেন্সি ডিরেক্টর রিচার্ড বলেছেন, নিহতের সংখ্যার ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বিশ্বাসযোগ্য। যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা গণনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাইকেল স্প্যাগাট বলেন, যে হারে এ সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তা ‘অস্বাভাবিক রকমের বেশি’। গাজার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। সেই হিসাবে উপত্যকার প্রায় ১ শতাংশ মানুষ নিহত হয়েছে ইসরায়েলি আক্রমণে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ায় বোমা হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। ১০ কিলোমিটার চওড়া ও ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫ হাজার ৭০০-র বেশি মানুষ বাস করত। মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণ অনুসারে, চলমান সংঘাতে মধ্য-ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজায় ২৯ হাজারের বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ফ্রান্সে পাস হলো বিতর্কিত অভিবাসন সংস্কার আইন
ফ্রান্সে পাস হলো বিতর্কিত অভিবাসন সংস্কার আইনউগ্র ডানপন্থি নেতা মেরিন লে পেন: ছবি সংগৃহীত
কয়েক মাস রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পর ফ্রান্সের অভিবাসন নীতিকে কঠোর করার আইন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে এ আইন পাস হয়।সংশোধিত বিলটি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর মধ্যপন্থি রেনেসাঁ এবং মেরিন লে পেনের অতি ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) উভয় পার্টির সমর্থন লাভ করে। পার্লামেন্টের এ ভোটাভুটিতে ম্যাক্রোর দল বিভক্ত হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অরেলিয়ান রুসো ঘোষণা করেছেন, তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন তা গ্রহণ করবেন কিনা তা বলেননি। অন্য মন্ত্রীরা পদত্যাগের প্রস্তাব দেবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।বিলটি পাস হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বামপন্থি দলগুলো ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে চরম ডানপন্থিদের ছাড় দেওয়ার অভিযোগ করেছে।আগে এর একটি খসড়া বিল গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) পাশাপাশি বামদলগুলো এতে যোগ দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, সরকার বিলটি নতুন করে তৈরি করে। এতে কিছু বিধান যোগ করে আরও কঠোর করা হয়েছে। সূত্র: বাংলানিউজ
ডাইনোসরের ডিমকে দেবতা ভেবে পুজো করছিল ভারতের যে গ্রামবাসীরা
ভারতের মধ্য প্রদেশের ধার জেলা ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত। ওই জেলারই অন্তর্গত পাড়ল্যা গ্রামের বাসিন্দাদের কুলদেবতা ‘কাকর ভৈরব’। তাঁরা বংশপরম্পরায় কাকর ভৈরবের পুজো করে আসছেন দীর্ঘকাল ধরে। তাদের বিশ্বাস শিলাকৃতির কাকর (যার অর্থ জমির সীমানা) ভৈরব (ঈশ্বর) জমি ও গবাদি পশুর রক্ষা করেন এবং দুর্দশা নির্মূল করেন।কিন্তু ওই ভীল সম্প্রদায়ের অনেকের ধারণাই ছিল না, যে গোলাকৃতি শিলাটি তাঁরা নিজেদের চাষাবাদের জমির সীমানায় রেখে পুজো করছেন, সেটা আসলে ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম!পাড়ল্যার বাসিন্দা ভেস্তা মান্দোলাই বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমরা জানতামই না, ওই শিলা আসলে ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম। কত বছর ধরে আমারা কাকর ভৈরবের পুজো করে আসছি তার ইয়ত্তা নেই।””আশপাশের অঞ্চলের কোথাও কোথাও কাকর ভৈরবকে ভিলেট বাবা বলেও পুজো করা হয়। আমাদের গ্রামের ছেলেরা কোথাও থেকে গোলাকৃতি শিলা যেগুলো অন্যান্য পাথরের থেকে আলাদা সেরম কিছু খুঁজে পেলে নিয়ে এসে পুজো করত। কেউ কী আর জানত, ওগুলো আসলে ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম!” সূত্র: বিবিসি বাংলা।