প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
জাতিসংঘ দলের পর্যবেক্ষণ
গুম-খুনে বিচারহীনতায় জন–আস্থা ভেঙে পড়েছে
বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযানের পটভূমিতে এবারের ইউপিআরের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিচার প্রশাসন গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি উল্লেখ করে বলেছে, তাদের স্বাধীনভাবে ন্যায়বিচার করার ক্ষমতা সম্পর্কে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। প্রতিনিধিদল বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনায় আইন প্রয়োগকারীদের দায়মুক্তি এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে বিরাজমান গভীর উদ্বেগের কারণে জনগণের আস্থা ভেঙে পড়ার কথা জানিয়েছে। তারা একটি পক্ষপাতমুক্ত, স্বাধীন এবং বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে, যারা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগগুলো তদন্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার চতুর্থ সর্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনা বা ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ, ইউপিআরের জন্য সংস্থার তৈরি সারসংকলনে বিচারব্যবস্থার প্রতি জন–আস্থা ভেঙে পড়ার এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সরকার অবশ্য তার পেশ করা জাতীয় প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে নতুন বিচারক নিয়োগ, আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়ার কথা বলেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনেও সরকারের ভাষ্যের পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে।বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রশ্নে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিরোধকে ঘিরে দেশব্যাপী রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযানের পটভূমিতে এবারের ইউপিআরের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আজ সোমবার এই পর্যালোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এতে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমালোচনার জবাব দেওয়ার সুযোগ থাকবে, যার ভিত্তিতে ১৫ নভেম্বর চতুর্থ ইউপিআরের সুপারিশমালা প্রণীত হবে। মানবাধিকার পর্যালোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা আছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। সূত্র: প্রথম আলো
নরসিংদীতে বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা
চোরাগোপ্তা হামলায় হটানো যাবে না
দেশের জনগণের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ♦ যুগ যুগ ধরে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে ♦ ভোট চুরি করে খুনিদের সংসদে বসিয়েছিল খালেদা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চোরাগোপ্তা হামলা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সরকার হটানো যায় না। তিনি তারেক রহমানকে সাহস থাকলে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সে অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিংয়ে যুক্ত। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তারেক লন্ডনে বসে এত টাকা কোথায় পায়। গতকাল নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চাইলে উপস্থিত জনতা হাত তুলে তাঁর প্রতি সমর্থন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েলের হামলার মতো আমাদের দেশেও হাসপাতালে হামলা করা হচ্ছে। এরা তারেকের জারজ সন্তান কি না সে প্রশ্ন রাখেন তিনি। আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই নভেম্বর মাস যেখানে পরীক্ষা হচ্ছে। বিএনপি অবরোধ দেয়, সামনে আসার সাহস তাদের নেই। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, হাটবাজার, দোকানপাট কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।
ভারতের অবস্থান নিয়ে সতর্ক বিএনপি
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান বদল হবে না, এমন ধারণা বিএনপির আগেই ছিল। তবে দলটি মনে করছে, গত দুই নির্বাচনের মতো এবার ঢাকায় ভারতের উপস্থিতি ততটা জোরালো ও প্রকাশ্য নয়। তবে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের বিষয়ে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও বিএনপি নেতারা মনে করছেন, ভারতের বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো তাঁদের জন্য ততটা সহজ নয়। শুক্রবার দিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ‘টু-প্লাস-টু’ বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয় বলে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা জানান।সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি আমরা। বাংলাদেশের নির্বাচন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সে দেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ
প্রশাসন, পুলিশ ও শিক্ষা ক্যাডার
পদোন্নতির উৎসব ভোটের আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচের তফশিল ঘোষণার আগেই সরকার প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছে। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ভোটের আগে গত কয়েক মাসে এই তিন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে ১৬০৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বেশ ‘উদার’ভাবেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও মেধাবী কিছু কর্মকর্তা বঞ্চিত হওয়ায় প্রায় পুরো বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তালিকার শেষদিকের কর্মকর্তারা নতুন পদে যাওয়ার আনন্দে ভাসলেও, অনেক মেধাবী বঞ্চিত হওয়ার কষ্টে জর্জরিত। প্রশাসন বিশ্লেষকরা বলেছেন, এটা নতুন নয়। মেধাবীদের বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা পুরোনো। তাদের মতে, পদোন্নতির সময়টা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে পারে। সামনে নির্বাচন, এ সময় পদোন্নতি নিয়ে মানুষ ভাবতেই পারে সরকার এদের হাতে রাখার জন্য খুশি করতে শেষ সময়ে এত আয়োজন। তবে সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যায় পদোন্নতির যৌক্তিকতা উঠে এসেছে। জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, পদ শূন্য থাকলে এবং পদোন্নাতি পাওয়ার যোগ্য কর্মকর্তা থাকলে তা দিতে কোনো সমস্যা নেই। এমন কি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরও যদি পদ থাকে এবং পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা থাকে তাকে পদোন্নতি দিতে হবে। কিন্তু পদ নেই তারপরও পদোন্নতি দেওয়া উচিত নয়। সুপারনিউমারারি পদে কখনই পদোন্নতি দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন এই সাবেক আমলা। জানা গেছে, মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে পদোন্নতি হয়। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের অতিরিক্ত সচিব পদে ১১৪, যুগ্মসচিব পদে ২২১, উপসচিব পদে ১৭৮ কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়। এতে উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২৯তম ব্যাচের প্রথমসহ বেশ কিছু মেধাবী কর্মকর্তা বঞ্চিত হয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর
মরে গিয়েও আসামি সানাউল্লাহ মিয়া
সানাউল্লাহ মিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এ আইনজীবীর কথা মনে আছে কি? মারা গেছেন সেই ২০২০ সালের ২৭ মার্চ। মৃত্যুর কয়েক বছর পরও মামলা থেকে যেন তাঁর নিস্তার নেই। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘাতের ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর রামপুরা থানায় করা এক মামলার ২২৬ নম্বর আসামি তিনি। শুধু সানাউল্লাহ মিয়া নন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৩ নম্বর ওয়ার্ড সহসভাপতি নাসির রহমান একই মামলার ৮৮ নম্বর আসামি। অবাক করা বিষয় হলো– গত বছরের অক্টোবরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই মামলারই ১২ নম্বর আসামি মির্জা আকবর ইমাম ভুলু। তিনি ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বছর দেড়েক শয্যাশায়ী এ নেতা কমিটিতেও নেই, রাজপথেও নেই। তবু তিনি মামলার চক্করে। বিএনপি নেতারা বলছেন, সারাদেশে নেতাকর্মীর নামে এমন ‘গায়েবি’ মামলা হচ্ছে। মৃত, বিদেশে এবং কারাগারে থাকা নেতাকর্মীকে করা হচ্ছে আসামি। সব মামলার এজাহারে একই রকম শব্দের গাঁথুনি। কোনোটির বাদী পুলিশ, আবার কোনোটির বাদী স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা। সূত্র: সমকাল
মানবাধিকার লঙ্ঘন
সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইতে বলল অ্যামনেস্টি
ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির জন্য জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চাইতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত শনিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ ১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনায় (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে এই পর্যালোচনাকে কাজে লাগাতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানাল যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি। সূত্র: দেশ রুপান্তর
আকিজের দখলে শীতলক্ষ্যাপাড়
উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় স্থানীয়দের কাছ থেকে কেনা ৩২ বিঘা জমিতে সেখানে একটি ওয়্যারহাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। কিন্তু পরিবেশবিদদের আপত্তিটা অন্য জায়গায়; তা হলো, এই ওয়্যারহাউসের মালপত্র পরিবহনে ক্রেন স্থাপন ও জেটি নির্মাণের জন্য নদীর তীরভূমি (ফোরশোর) দখল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন সেখানে বালু ভরাট করে তোলা হচ্ছে পিলার, চলছে বেসিন তৈরির কাজ। সূত্র: আজকের পত্র্রিকা।
ডলার নেই, তারল্যও সংকটে, সংকোচনের মুখে বেসরকারি খাত
ডলার সংকটে দেশের আমদানি সংকুচিত হচ্ছে দুই বছর ধরে। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে না পারায় স্থবির হতে বসেছে অনেক শিল্প। টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়নের প্রভাবেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবার ডলার সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাংকের তারল্য সংকট। ঋণ না পাওয়ায় দেশের অনেক উদ্যোক্তাই এখন কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় সমৃদ্ধি নয়, বরং সংকোচনের মুখে পড়েছে দেশের বেসরকারি খাত। যদিও দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও কর্মসংস্থানের বড় অংশই বেসরকারি খাতনির্ভর। এ খাত প্রাণবন্ত থাকলে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে চলে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিও হয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায়। উদ্যোক্তারা বলছেন, ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়া, সুদহার বৃদ্ধি, ডলার সংকট ও ডলারের বিনিময় হার নিয়ে নৈরাজ্য, প্রত্যাশিত মাত্রায় ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারা, গ্যাস সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে বিক্রি কমে যাওয়াসহ বহুমুখী সংকটে বেসরকারি খাত এখন বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ব্যবসায়ীরা গণহারে ঋণখেলাপি হবেন। তাতে দেশের ব্যাংক খাতের আর্থিক ভিত আরো বেশি নড়বড়ে হয়ে উঠবে।দেশের ব্যাংক ঋণের সুদহার এখন প্রায় ১১ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি সুদহারের চেয়েও অনেক নিচে নেমে এসেছে। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা গত ২৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে। সর্বশেষ অক্টোবর ও চলতি নভেম্বরে ঋণ প্রবাহের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ডায়েরি : স্বপ্নভঙ্গ, বিতর্ক আর ভারত-পরিক্রমা
বিশ্বকাপের স্কোয়াড গঠন নিয়ে তুমুল বিতর্ক মাথায় নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারতে পা রেখেছিল সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে। ঠিক দেড় মাস বাদে তারা রবিবার দেশে ফিরেছে ব্যর্থতার গ্লানি, একরাশ সমালোচনা ও বিতর্ক নিয়েই। টুর্নামেন্টের শুরুতে যে দলটার স্বপ্ন ছিল অন্তত সেমিফাইনালে ওঠা – তাদের এখন একমাত্র সান্ত্বনা হল কোনওক্রমে বছরদেড়েক বাদে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন করতে পারা। সেটার জন্যও তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে রবিবার ব্যাঙ্গালোরে ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচটার দিকে। বৃষ্টিতে কোনও কারণে রাউন্ড রবিন লীগের এই শেষ ম্যাচটা ভেস্তে গেলে ডাচরা বাংলাদেশের সেই আশাতেও জল ঢেলে দিতে পারত। সূত্র বিবিসি বাংলা।
৪৬ স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা
দেশের প্রায় চার ডজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে আরও ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকারের একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান- স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। ৪৬টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে নতুন এই বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে কোম্পানিটি। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্প্রতি টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সামি আহমেদ।২০২০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এপর্যন্ত ২৮ কোম্পানিতে মোট ৭৩.৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। এর মধ্যে এপর্যন্ত ৬৪ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। কৌশলগত এসব বিনিয়োগ– হেলথটেক, এগ্রিটেক, এডটেক, লজিস্টিকস, ফিনটেক, ই-কমার্স ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে করা হয়েছে।এসব খাতে আরও প্রবৃদ্ধির অনুমান করে, নতুন করেও একই ধরনের স্টার্টআপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে সামি আহমেদ বলেছেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের বিনিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখতে এবং কোম্পানির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে আরও ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তিনি আগের বিনিয়োগ– কোথায় কত টাকা করা হয়েছে, সে তথ্য জানিয়ে নতুন বিনিয়োগের তহবিল চেয়েছেন। অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বিনিয়োগ চাহিদা পূরণে স্টার্টআপ বাংলাদেশকে অর্থায়ন করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘দ্রুত অর্থ ছাড় করা হবে।’ এর মাধ্যমে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ।