প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২৩
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
মোংলায় টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। এদিকে বৃষ্টিপাতে পৌর শহরসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবারের দিন-রাতের টানা বৃষ্টিপাতে মোংলা বন্দর ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। রাস্তা ও ঘরে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে কখনো একটানা আবার কখন কখনো থেমে থেমে হালকা-মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে মোংলার উপকূল জুড়ে। বৃষ্টির জন্য বন্দরে অবস্থানরত সারবাহী জাহাজের কাজ বন্ধ রয়েছে।
দিনমজুর মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে কোন কাজ কর্ম নেই, তাই অলস বসে থাকতে হচ্ছে। কাজ না থাকলে আয় হবে কিভাবে আর সংসারও চালাবো কেমন করে।
সামছুর রহমান রোডে বাসিন্দা বেগম বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তায় ও বাড়ীতে হাটুর নিচে পানি। রান্না ঘরে পানি ওঠায় পাঁচদিন ধরে রান্নাবান্না অন্যের বাড়ী থেকে করে আনতে হচ্ছে।
একই এলাকার নুর নাহার বেগম বলেন, বৃষ্টিতে ঘরে পানি উঠায় কিছুক্ষণ পরপর পানি ছিটতে হচ্ছে, ঘরে রান্নাসহ ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ রয়েছে বন্দরে অবস্থানরত তিনটি সারবাহী বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের কাজ। বৃষ্টিতে সার ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে বাকী ছয়টি বিদেশী জাহাজের কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বন্দর ব্যবহারকারী মোঃ মসিউর রহমান বলেন, ভিজে নষ্ট হওয়ার আশংকায় সারবাহী জাহাজের কাজ বৃষ্টিতে বন্ধ রাখা হয়। আর কয়লা, মেশিনারীসহ অন্যান্য জাহাজের কাজ বেশি বৃষ্টিতে সাময়িক বন্ধ থাকে, বৃষ্টি কমলে আবারও শুরু করা হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের ষ্টাফ সৈকত বর্মন বলেন, বৃষ্টিপাতে বন্দরে জাহাজের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট সঞ্চালনশী মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার মোংলা বন্দর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করে আবহাওয়া অফিস। এরপর লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়াতে মঙ্গলবার দিন-রাতে সমানে ও বুধবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাত বয়ে যাচ্ছে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে।
তবে এমন পরিস্থিতি আরো আগামী তিনদিন ধরে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ।