প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ডিমের উৎপাদনের হিসাবে গরমিল
সরকার বলছে, উৎপাদন বেড়েছে। বেসরকারি খাত বলছে, কমেছে। দাম বাড়তি, দরিদ্র মানুষের পাতে উঠছে না ডিম।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের নবাব আলী পেশায় একজন ভ্যানচালক। মা, স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। দুটি বড় হাঁস আছে জানিয়ে নবাব আলী বলেন, ‘দুই-তিন মাস আগে আঁশে (হাঁস) ছয়-সাতটা ডিম দিছিল। তারপর আর ডিম দিছে না। আঙ্গর কিইন্না (কিনে) খাওয়ার সামর্থ্য নাই।’ নবাব আলী ও তাঁর পরিবারের মতো স্বল্প আয়ের বহু মানুষের পাতে এখন আর ডিম পড়ে না বললেই চলে। অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় অনেকেই ডিম কিনে খেতে পারছেন না। বাস্তবতা যখন এমন, তখন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, প্রতিবছরই ডিমের উৎপাদন বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট লোকজন বলছেন, উৎপাদন বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমে আসে। অথচ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিমের বাড়তি উৎপাদন দেখালেও দাম বেড়েই চলেছে। ফলে অধিদপ্তরের হিসাবে গলদ আছে। সূত্র: প্রথম আলো
খুব কাছের বন্ধু হিসেবে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ
ভারতের খুব কাছের বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের জি২০-এর মুখ্য সমন্বয়ক ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। আজ শনিবার নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলন নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রাসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতের জি২০-এর মুখ্য সমন্বয়ক শ্রিংলা বলেন, ‘খুব কাছের ও প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি—এটি আমলে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
’শ্রিংলা যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তার প্রায় দুই ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পৌঁছেন। গতকাল সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন।ওই বৈঠকের আগে শ্রিংলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগেভাগেই বৈঠক করবেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৭০০ ছাড়াল
দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত মানুষ
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৮৭৬ * মশা নিধনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করার পরামর্শ
বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর বাংলাদেশে ডেঙ্গু জাতীয় জনস্বাস্থ্য দুর্যোগ হিসাবে দেখা দিয়েছে। এডিস মশাবাহিত রোগটিতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছেন। দেশে প্রায় দুই যুগ ধরে ডেঙ্গু চোখ রাঙালেও যেন দেখার কেউ নেই। এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল নতুন ইতিহাস গড়েছে।গত আট মাসে এ রোগে প্রায় দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৭০০। এরপরও সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়সারা কার্যক্রমে ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, দুর্বল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গুতে প্রাণহানি, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও মানসিক চাপ বাড়ছে। এতে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ডেঙ্গু শহর ছেড়ে গ্রামেও ছড়িয়ে গেছে। দুর্বল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কারণেই রোগটিতে প্রতিদিন অংসখ্য মানুষের আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর আসছে। পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমন বাস্তবতায় কারও পরিবারে ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ডেঙ্গুসহ যে কোনো রোগের চিকিৎসা নেওয়া একশ্রেণির মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। সূত্র: যুগান্তর
শেখ হাসিনার প্রশংসায় মোদি
♦ মোদির বাসভবনে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক ♦ তিন সমঝোতা স্মারক সই
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উষ্ণ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মোদি বলেছেন, আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সন্তোষজনক। বৈঠকে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়া হয়। জি২০ সম্মেলন ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য গতকাল দুপুরে নয়াদিল্লি আসেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত সফরে প্রথম কর্মসূচি ছিল নরেন্দ্র মোদির বাসভবনের এ বৈঠক। ভারতের স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছান নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে। শেখ হাসিনাকে নিজেই এসে অভ্যর্থনা জানান মোদি। এরপর শুরু হওয়া বৈঠক চলে ঘণ্টাব্যাপী। প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে। পরে একান্তে কথা বলেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক শেষে টুইটবার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’ সূত্র; বিডি প্রতিদিন।
খসড়া সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির
সাইবার নিরাপত্তা আইন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও চর্চার আলোকে এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ‘খসড়া সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিসহ সব সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিলটি যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অনুরূপ মত, চিন্তা, বিবেক, বাক্ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ারে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মন্ত্রীবর্গসহ সব সংসদ সদস্যকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
দেশে ঢুকছে মহিষের সেদ্ধ মাংস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের দেয়ালে দেয়ালে মহিষের সেদ্ধ মাংস বিক্রির বাহারি বিজ্ঞাপন ঘুরছে। কেনা যাচ্ছে একেবারে পানির দরে! অনলাইনে চাহিদার কথা জানালে মাংস পৌঁছে যাচ্ছে রেস্তোরাঁর দুয়ারে কিংবা ক্রেতার ঘরে। লবণ-হলুদের মিশেলে সেদ্ধ এসব মহিষের মাংস কৌশলে পাশের দেশ ভারত থেকে আনছেন আমদানিকারকরা। হিমায়িত মাংস আমদানিতে কড়াকড়ি থাকলেও এটি দেশে ঢুকছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ঘোমটা পরে। এ সেদ্ধ মাংস এমনই জাদুকরী, এক কেজি রান্না করলে ফুলেফেঁপে হয়ে যায় তিন কেজি। এ কারণে কেজি ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায় নেওয়া হলেও আদতে দাম পড়ে মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশের বাজারে এখন কাঁচা মহিষের মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ কারণে সারাদেশের রেস্তোরাঁ মালিকরা এই সেদ্ধ মাংস কিনতে হুমড়ি খাচ্ছেন। সূত্র: সমকাল
চিকিৎসক সংকটে রোগী ভর্তি বন্ধ
ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে গত জুলাই থেকে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। কিন্তু এখন পর্যন্ত চিকিৎসক সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরিবের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এ চিকিৎসাকেন্দ্রটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে সামসুল কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, ২০১৬ সালের জনবল কাঠামোতে হাসপাতালের শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ কেটে প্রেষণ করে দিয়েছে। এজন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওই শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এখানে প্রেষণে লোকবলও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, জনবল কাঠামো সংশোধন করে সরাসরি নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশোধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জনবল কাঠামো সংশোধন হওয়ার পর দ্রুততম সময়ে হাসপাতালের শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আপাতত বিদ্যমান জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯০ সালে গড়ে তোলা ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। লালবাগ চৌরাস্তা সংলগ্ন ৪/১, গৌর সুন্দর রায় লেনে প্রায় দেড় বিঘা জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছে হাসপাতালটি। চারতলা ভবনের নিচতলায় আউটডোর, প্যাথলজি বিভাগ ও ফার্মেসি রয়েছে। আর দোতলায় অপারেশন থিয়েটার, পরিচালকের দপ্তর এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যালয়। তিন ও চারতলায় রয়েছে মেডিসিন ওয়ার্ড ১ ও ২, জরুরি বিভাগ, ডেঙ্গু ওয়ার্ড এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড। প্রতিদিন আউটডোরে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। আর গত কয়েক বছরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর গড় ৫০ থেকে ৬০ জন। সূত্র: দেশ রুপান্তর
পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু: তিন বছরেও ক্ষতিপূরণ পায়নি জনির পরিবার
রাজধানীর পল্লবী থানার হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে নিহত জনির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন বছর পরও ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি জনির পরিবার। এ মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনের করা আপিল হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিৎ চ্যাটার্জি বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবকাশের আগে দুই দফা শুনানি হয়েছে। আসামিরা জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেননি। তাই হাইকোর্ট তাঁদের তা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁদের নিজ খরচে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবকাশের পর বিষয়টি আবারও শুনানির জন্য আসবে। বিচারিক আদালতের রায় যাতে বহাল থাকে রাষ্ট্রপক্ষ সেই চেষ্টা করবে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
‘সিঙ্গাপুরে ধনীদের তালিকায় একধাপ এগিয়েছেন বাংলাদেশের আজিজ খান’
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীদের সম্পর্কে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা নিয়ে। সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ধনীর তালিকায় ৪১তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশী আজিজ খানকে নিয়ে তাদের শিরোনাম – ৫০ বছরের ব্যবসায় জীবনে আজিজ খানের সম্পদের উল্লম্ফন ঘটেছে গত এক দশকে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের গত বুধবার প্রকাশিত সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় গত বছরের চেয়ে একধাপ এগিয়েছেন আজিজ খান। স্বীকৃতি পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী ব্যক্তির। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, মুহাম্মদ আজিজ খানের মোট সম্পদ রয়েছে ১১২ কোটি ডলারের।তিনি সামিটের চেয়ারম্যান। বলা হচ্ছে প্রায় অর্ধশতকের ব্যবসায়ী জীবনে ট্রেডিং থেকে শুরু করে জ্বালানি, বন্দর, ফাইবার অপটিকসহ নানা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন মুহাম্মদ আজিজ খান। তবে তার সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিদ্যুতের ব্যবসা। এ ব্যবসার হাত ধরেই গত এক দশকে সম্পদে বড় উল্লম্ফনের দেখা পেয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
পাট চাষিদের হাহাকার, দেখার কেউ নেই
এ বছর পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ গাইবান্ধার পাট চাষীরা। জেলায় চলতি বছরে বৃষ্টি না হওয়ায় পাটের ফলন যেমন কম হয়েছে, তেমন বেড়েছে উৎপাদন খরচও। বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় চাষীদের। এসবের পরে পাট বিক্রি করতে গিয়ে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায়, সোনালি আঁশ নিয়ে হতাশায় কৃষক। এজন্য সরকারের সদিচ্ছা এবং সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন চাষিরা। গাইবান্ধার একমাত্র পাটের হাট কামারজানি বন্দর। সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবারে এই হাট বসে। সেখানে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের পাটচাষি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাট কেনা-বেচা করেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এই হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের এক পাশে পাট নিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। সত্তর ছুঁই ছুঁই ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল সাত্তার। মোল্লারচর থেকে পাট নিয়ে আসছেন এই বর্গাচাষি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বিঘা জমিতে হাল, বীজ, সার ও শ্রমিকের মজুরি সব মিলিয়ে পাট চাষে খরচ হয়েছে ২২ হাজার টাকা। আর পাট হয়েছে ৯ মণ। বাজার অনুযায়ী এর দাম এখন ১৮ হাজার টাকা। আমার লোকসান হলো চার হাজার টাকা। এই টাকা আমি কোথা থেকে পূরণ করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা চরের মানুষ। চরে এ মৌসুমে পাট ছাড়া কোনো আবাদ হয় না, আর সেই পাট করে আমরা উল্টো লোকসান গুনছি। তাহলে পরিবার নিয়ে বাঁচবো কীভাবে? পাট চাষ করে যে ক্ষতি হলো এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? সূত্র: ঢাকা পোস্ট