Print

সারাদিন

বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চায় ভারত : গোলাম মোহাম্মদ কাদের

প্রকাশিত: ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের ভাবী, তিনি আমাদের বড় ভাইয়ের স্ত্রী। বড় ভাইকে আমরা বাবার মতই দেখতাম, সে হিসেবে বেগম রওশন এরশাদকে আমরা মায়ের মতই জানি ছোটবেলা থেকে। তার সাথে আমার কোন সময়ই কোন দ্বন্দ ছিলো না, এখনো কোন দ্বন্দ নেই।

বেগম রওশন এরশাদের অসুস্থ্যতার সুযোগে কিছু মানুষ বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক বক্তব্য নেয়া হচ্ছে, আমার জানামতে এগুলো তিনি নিজের ইচ্ছেয় দিচ্ছেন না। জাতীয় পার্টিকে দূর্বল করতে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করছে। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে “দেবর-ভাবীর দ্বন্দ” ছড়াচ্ছে, তারাই উস্কে দিচ্ছে। জাতীয় পার্টি যাতে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়াতে না পারে এবং আমাদের ইমেজ নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা প্রমান করতে চায়, জাতীয় পার্টির শক্তি নেই, পার্টিতে ঐক্য নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর মাঝে জাতীয় পার্টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি মনে করছি বেগম রওশন এরশাদকে দিয়ে যারা এগুলো করাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

বুধবার (২৩ আগস্ট (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গেটে গণমাধ্যম কর্মীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেদেশে গিয়ে ছিলাম। বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে আমার আলাপ হয়েছে। কার কার সাথে এবং কি বিষয়ে আলাপ হয়েছে তা বলতে পারবো না, ওনারা চাইলে প্রকাশ করতে পারেন। আমার পক্ষে তাদের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

দুটি দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি সম্বন্ধে তাদের ভালো ধারনা আছে, তারা জাতীয় পার্টিকে সম্ভাবনাময় দল মনে করেন। তারা আশা করছেন, জাতীয় পার্টির সাথে তাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতেও সৌহাত্যপূর্ণ থাকবে। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চায় ভারত।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে যেন কোন সহিংসতা না হলে ভারত খুশি হবে। এদেশে ভারতের অনেক বিনিয়োগ আছে, তাই ভারত চায় সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরবর্তী সরকার গঠন হোক। ভারত চায় আমরা সবাই মিলে যেনো সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি। বাংলাদেশে কোন সহিংসতা না হয় এবং স্থিতিশীলতা যেনো নষ্ট না হয়।

বিভিন্ন দলের মতদ্বৈততা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ভারতের বক্তব্য হচ্ছে, বিভিন্ন দলের মতদ্বৈততা এটা বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার। ভারত চায় আমরা যেনো আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করি। তারা বলেছে, জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা আছে। তাই সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে পারলে তারা খুশি হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনো আসেনি। আমরা আরো কিছু দিন দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো। নির্বাচন আমরা বর্জন করবো এ কথা আমরা কখনোই বলিনি। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপ করেই নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচন যেনো ভালো হয়। আমাদের পার্টি আমরা চালাবো, এ ব্যাপারে তাদের বার্তা দেয়ার কিছু নেই। সহিংসতা ছাড়া একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চায় ভারত।

Nagad
Nagad

পরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের বন্ধু নয়। ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের দূর্বল করতে চায়। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে নির্দেশনা দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মাদ কাদের এমপি ভারত সফর শেষে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগতম জানাতে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি,প্রেসিডিয়াম সদস্য‌ মোঃ আবুল কাশেম, সাহিদুল রহমান টেপা,এস এম আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায় , মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার‌ পাটোয়ারী এমপি, লেঃ জেঃ (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত,মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, নূরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, সাজ্জাদ পারভেজ, ইকবাল হোসেন তাপস, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান – আহসান আদেলুর রহমান এমপি, সুলতান আহমেদ সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, ‌তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোঃ বেলাল হোসেন,মো আমার হোসেন ভূঁইয়া, একেএম আশরাফুজ্জামান খান,সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদক মন্ডলঈর সদস্য- মোঃ হেলাল উদ্দিন , মোঃ হুমায়ুন খান,কাজী আবুল খায়ের, এমএ রাজ্জাক খান,‌জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন,মাওলানা এস এম আর জুবায়ের, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম সরকার, বাদল, আকতার হোসেন দেওয়ান,এম এ সোবাহান, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহিম সুমন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, মীর সামসুল আলম লিপ্টন, কেন্দ্রীয় নেতা – শাহরিয়ার জামিল জুয়েল,আব্দুস সাত্তার, আলাউদ্দিন আহমেদ,‌জাহিদ হাসান, মাহমুদুল হক মনি, মোঃ মিজানুর রহমান,জাকির হোসেন, নূরুজ্জান‌,আলমগীর হোসেন, মোহাম্মাদ আলী,জাতীয় ওলামা পার্টির আহবায়ক ড. এরফান বিন তোরাব আলী, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম খান, মটর শ্রমিক সদস্য সচিব- মোঃ আব্দুর রহিম, এস এম হাসেম, রফিকুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা মোকলেছুর রহমান বস্তু ও সোলায়মান সামি।