আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, হবে খেলা…যত লাফালাফি আর তাফালিং করেন। ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়ার এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহুদূরে চলে গেছে। ওটা খুঁজে পাবেন না, লাফালাফি করবেন না। রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন। তাই আন্দোলন করে হারানো যাবে না

আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা গণভবনে থাকবে, তারেক জিয়া কিছু করতে পারবে না। অর্থপাচারকারী, চোরকে কেউ বিশ্বাস করে না। বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। এই এক দফা কোনোদিন ক্ষমতার স্বাদ পূর্ণ করতে পারবে না।

এর আগে দুপুর ১টার পর বৃষ্টিতে ভিজেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। আর দুপুর ২টার পর সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন দলটির হেভিওয়েট নেতারা। তারা যখন বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছিলেন, তখন নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠছিলেন। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবেশস্থলে বিশাল মিছিল নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। শামীম ওসমান সমাবেশস্থলে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সব নেতাকর্মী একযোগে স্লোগান দিতে থাকেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শান্তি সমাবেশ শুরু। এ সময় সমাবেশের মঞ্চে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন শুরু হয়। পাশাপাশি চলে কবিতা আবৃত্তিও। গানের তালে ও আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে দলীয় স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রেখেছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশে অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।