Print

সারাদিন

ড. ইউনূসের কর ফাঁকি: ১২ কোটি টাকা আয়কর দিতে হবে

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা আয়কর দিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার (১৭জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগে এ মামলায় শুনানির জন্য সময় চান ইউনূসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড তৌফিক ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

তৌফিক হোসেন বলেন, ড. ইউনূসের আইনজীবী দেশের বাইরে রয়েছেন তাই তারা সময় চান। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, রায় স্থগিত করা হবে না নির্ধারিত দিনেই শুনানি হবে। পরে রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি জন্য ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

এর আগে, গত ২২ জুন ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

গত ৩১ মে ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. তাকে কর বাবদ আরও ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে এনবিআরকে। এর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় ১৫ কোটির মধ্যে ইউনূস ৩ কোটি টাকা জমা দেন।

মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইনানুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

Nagad
Nagad

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার দাবি, আইনানুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।

এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।

৩১ মে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন। তিনি বলছেন এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল। পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট রেফারেন্সগুলো ঠিক বলেছেন। আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। এখন এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার অধিক দাবি করেছিল। ইতোমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকার মতো দিয়েছেন। এখন বাকি ১২ কোটি টাকার অধিক কর পরিশোধ করতে হবে।