প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৩
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হলো- দেশের জনগণের তথ্য ফাঁসের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ-এই ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়- লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হতে পারেন।
এখন পর্যন্ত এই ফাঁসের ঘটনার আপডেট হলো- তথ্য ফাঁসের এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার নেতৃত্বে থাকবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানা গেছে।
ফাঁসের ঘটনায় কি হতে পারে;
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা বিটক্রেক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস দাবি করেছেন-ফাঁসকৃত তথ্যের মধ্যে নাগরিকদের পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর রয়েছে।
যা নিয়ে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া সিম রেজিস্ট্রেশন, অবৈধ লেনদেনের শঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। এই ডাটাগুলো কিনে নিয়ে-অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারে। মোট কথা -খারাপ লোকদের হাতে পড়লে-এই তথ্য দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
আপনি যা করবেন
এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হাবীবুল্লাহ এন করিম গণমাধ্যমকে বলেন, সবার আগে যেটি করতে হবে-আপনার ডিজিটাল পদচারণা, ডিজিটাল প্লাটফর্মে যত ইউজার আছে -সব পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। ফেসবুক, জিমেইল-অনলাইন ট্রন্সজেকশন থেকে শুরু করে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টসহ সব কিছুর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে এখনি। এছাড়াও সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এছাড়া ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করতে পারবেন ভুক্তভোগী গ্রাহক। অর্থাৎ সংরক্ষিত তথ্য ফাঁস করা হলে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হওয়ায় কেউ যদি মনে করেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন- সেক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সাইবার বিভাগে এসে মামলা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন বলেও জানা গেছে।
নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত রাখতে খুব শিগগিরই তথ্য সুরক্ষা আইন আসছে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।