প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী গুডেনাফ মারা গেছেন
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বিকাশের অগ্রদূত নোবেলজয়ী জন গুডেনাফ গত রোববার (২৫ জুন) মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জন গুডেনাফের মৃত্যুর খরব নিত করেছে। নিজের ১০১তম জন্মবার্ষিকীর মাত্র এক মাস আগে মারা গেলেন এই বিজ্ঞানী।লিথিয়ান-আয়ন ব্যাটারিসহ ব্যাটারির সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ২০১৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান জন গুডেনাফ। তখন তাঁর ছিল ৯৭ বছর। সে অনুযায়ী তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেলজয়ী কোনো ব্যক্তি।লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বিকাশে জন গুডেনাফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কল্যাণে বিশ্বজুড়ে এখন লাখ লাখ বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি চলছে। ১৯২২ সালের ২৫ জুলাই জার্মানিতে জন্ম নিয়েছিলেন জন গুডেনাফ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) একটি গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন। পরে তাঁর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অরগানিক কেমিস্ট্রি গবেষণাগার। এ ছাড়া তিনি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন ৩৭ বছর। সূত্র: প্রথম আলো
ওয়াগনারের বিদ্রোহ
স্বাভাবিকতা ফেরাতে সক্রিয় ক্রেমলিন
* পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রয়েছে : মস্কোর মেয়র * স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে ওয়াগনার : বাহিনীর সদর দপ্তর
ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ নিয়ে নাটকীয়তার পর রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গতকাল সোমবার স্বাভাবিকতা ফেরাতে সক্রিয় ছিল ক্রেমলিন। ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ করে মস্কোমুখী যাত্রার কারণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সেখানে। এমন প্রেক্ষাপটেই গতকাল রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর প্রকাশ্যে আসার ভিডিও প্রচারিত হয়েছে। আস্থা ফেরানোর চেষ্টায় তিনি সেনাদের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে।রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও বাসভবন ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও কাতারের শেখের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা উভয়ে পুতিনের প্রতি সমর্থনের বার্তা দেন। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুর বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে গতকাল দেখা যায়, শোইগু ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের সঙ্গে রয়েছেন। সূত্র; কালের কণ্ঠ
দিল্লিতে ড্রোন ওড়ানোয় বাংলাদেশি নারী আটক
ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত অক্ষরধাম মন্দির এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে সেদেশের পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী। ড্রোনটি জব্দ করে পুলিশ ওই নারীকে জেরা করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার বিকেল ৩টার দিকে অক্ষরধাম মন্দিরের ওপর থেকে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ড্রোনটিকে দেখে নিরাপত্তরক্ষীরা পুলিশকে খবর দেয়। তারপর মান্ডেওয়ালি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল গিয়ে ওই নারীকে অবৈধভাবে ড্রোন ওড়ানোর দায়ে আটক করে। পুলিশ জানায়, ওই নারীর বয়স ৩৩ বছর, ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি সাংবাদিকতা এবং ফটোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। গত মে মাসে ছয় মাসের ভিসা নিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। সূত্র: সমকাল
কাশ্মীরে ভয়ংকর ঘটনা
দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার একটি গ্রামে মসজিদে ঢুকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারত জুড়ে। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের তিনজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং গুলাম নবি আজাদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তারা ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করেছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার জানাচ্ছে, গত শুক্রবার মাঝরাতের পর থেকে ঘটনার সূত্রপাত, যা চলে শনিবার সকাল পর্যন্ত। জাদুরা গ্রামের সাধারণ মানুষ একটি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাত দেড়টা নাগাদ কিছু সেনা তাদের গ্রামে আসে। জাদুরা সিভিল সোসাইটির চেয়ারম্যান মহম্মদ আলতাফ ভাট জানিয়েছেন, রাতে সেনা জওয়ানরা এসে বলে, ওই এলাকায় নতুন দল পোস্ট করা হয়েছে। তারা মক ড্রিল করছেন। ভাট জানতে চান, গভীর রাতে মক ড্রিল কেন করা হচ্ছে! সকাল হলেই তো করতে পারতেন। এত রাতে গ্রামবাসীকে জাগানো ঠিক নয়। কিন্তু তারা এরপর গ্রামে ঢুকে ১০ জন যুবককে ধরে। পাঁচজনকে বেল্ট দিয়ে মারা হয়। এর মধ্যে ভোরবেলায় স্থানীয় একজন মসজিদে যান আজান দিতে। সেনা জওয়ানরাও তার পিছু যান। তারাও মসজিদে ঢুকে মসজিদে উপস্থিত মানুষকে মাইকেই ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করায়। যে পাঁচটি যুবককে বেল্ট দিয়ে মারা হয়েছিল, তাদেরও ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর
আন্তর্জাতিক
ওবামার ওপর চটেছে বিজেপি
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার নিয়ে এক মন্তব্যের জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বারাক ওবামা বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর অধিকার রক্ষা করা না হলে দেশটি ভেঙে যেতে পারে। ওবামার এমন মন্তব্যে ‘হতবাক’ হওয়ার কথা জানান বিজেপি নেতা এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। গত রোববার সীতারামন বলেন, ‘তিনি (ওবামা) ভারতীয় মুসলমানদের সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। অথচ সিরিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে তার আমলেই বোমাবর্ষণ করা হয়েছিল। কেন কেউ এ ধরনের লোকদের অভিযোগ শুনবে?’ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রীর মুখ থেকে করা এই মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া ওবামা নিজে বা মার্কিন সরকার দেয়নি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
চলে গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেল বিজয়ী জন গুডএনাফ
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন গুডএনাফ মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় এই মার্কিন বিজ্ঞানীর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। খবর বিবিসির। গুডএনাফ অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস-এর ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, রোববার (২৫ জুন) মারা যান তিনি।ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস- এর সভাপতি জে হার্টজেল বিবিসিকে বলেছেন, ‘একজন অসাধারণ বিজ্ঞানি হিসেবে জন যে অবদান রেখে গেছেন তা অবিস্মরণীয়।’ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস তাকে ‘দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, পরামর্শদাতা, উজ্জ্বল ও নম্র উদ্ভাবক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ বৈদ্যুতিক যানের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখা ও ব্যাটারির ওপর তার কাজের জন্য ২০১৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন জন গুডএনাফ। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
শত্রুদের হিসেব ভুল ছিল: পুতিন
রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ অবসানের একদিন পর দেশটির সরকারি টিভিতে প্রথমবারের মতো দেখা গেল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে। ক্রেমলিন সোমবার পুতিনের একটি ভিডিও বক্তৃতা অনলাইনে পোস্ট করে। এরপরই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন তিনি। ভাষণে পুতিন বলেন, রাশিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। শত্রুদের দোষারোপ করে তিনি বলেন, তাদের হিসাব ভুল ছিল।তিনি বলেন, আমি সকল সৈনিক ও গোয়েন্দা কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই যারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ভাষণে তিনি জানান, রক্তপাত এড়াতে যা কিছু সম্ভব করা হয়েছিল তার নির্দেশে।মস্কোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অগ্রগতি বন্ধে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। ভাড়াটে কমান্ডার ও সৈন্যদের যারা রক্তপাত এড়িয়ে গেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। সূত্র: বণিক বার্তা।
প্রিগোজিন কোথায়, কী আছে ওয়াগনারের ভাগ্যে?
শান্তিচুক্তি পর দ্বন্দ্বের অবসান। কথা ছিল রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন ওয়াগনার সেনাপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। ওয়াগনারের ২৫শ সেনা ইতোমধ্যেই ফিরে গেছেন নিজেদের ফিল্ড ক্যাম্পে। কিন্তু প্রিগোজিন কোথায়? বেলারুশেও যাননি। হদিস মিলছে না রাশিয়ায়ও। খোদ মস্কোতেই রীতমতো ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে তার অবস্থান নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর রাশিয়ার মাটিতে টিকবে কি ওয়াগনার? সামনে কি-ই বা অপেক্ষা করছে ওয়াগনারদের ভাগ্যে? সোমবার এ নিয়ে এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। সশস্ত্র বিদ্রোহের আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে কয়েক হাজার ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্য অংশ নিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন সেনাবাহিনী হিসাবে ওয়াগনারের দিন শেষ হয়ে আসছে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনজুড়ে কয়েক বছর ধরে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ওয়াগনার গ্রুপের ছিল বিশাল দাপট। তবে বিদ্রোহ প্রকাশের পরপরই ওয়াগনার সেনা নিয়োগের বেশকিছু কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়াগনার বাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলোও এখন ঠিকমতো কাজ করছে না। প্রিগোজিনের অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা ভকোনটাকটেও রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ দ্বারা অচল করা হয়েছে। রোস্তভ অন ডন শহর এবং মস্কোর মাঝামাঝি থাকা ভোরোনজের গভর্নর বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনী তার অঞ্চল ছেড়ে যাচ্ছে। তবে এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে, রাশিয়ার নিয়মিত সামরিক বাহিনীতে ওয়াগনার একীভূত হবে কিনা। সূত্র; যুগান্তর
ওয়াগনার, প্রিগোশিন, পুতিন এবং শোইগু: যেসব তিক্ত বিরোধের জের ধরে রাশিয়াতে সামরিক বিদ্রোহ
ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল ২৪ ঘণ্টারও কম সময়, কিন্তু যে ঈর্ষা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে – তা চলছিল মাসের পর মাস, এমনকি কয়েক বছর ধরেও।নাটকীয় এই ঘটনার প্রধান চরিত্র তিনটি: আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুই শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি- সের্গেই শোইগু এবং ভ্যালেরি গেরাসিমভ। প্রিগোশিন একজন সাবেক অপরাধী। ১৯৮০-এর দশকে তিনি সংঘবদ্ধ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং একারণে তাকে কয়েক বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। প্রিগোশিন ক্রেমলিনের সৃষ্টি এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কল্যাণে তিনি অঢেল ধনসম্পদের মালিক হয়েছেন।অন্যদিকে সের্গেই শোইগু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং ইউক্রেনে যে রুশ বাহিনী লড়াই করছে তার সর্বাধিনায়ক ভ্যালেরি গেরাসিমভ।প্রিগোশিন ২০১৪ সালে ওয়াগনার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে সারা বিশ্বে রাশিয়ার প্রভাব পুন-প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট পুতিনের আকাঙ্ক্ষায় তিনি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। প্রিগোশিনের বাহিনী মি. পুতিনের মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে পতনের হাত থেকে রক্ষা এবং মালিতে ফরাসি প্রভাব হ্রাস করতে সাহায্য করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার নিয়ে ওবামার মন্তব্যে ক্ষেপেছে বিজেপি
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত সপ্তাহে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা না হলে ভারতে একদিন ‘ভাঙন দেখা দিতে পারে’। যে সময়ে ওবামা এই মন্তব্য করেন, সে সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। ওবামার এ মন্তব্য যে মোদীকে অসন্তুষ্ট করছে তা তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের বাক্যবাণেই স্পষ্ট। যদিও মোদী বরাবরের মত চুপ করেই আছেন।গত ২১ জুন রওয়ানা হয়ে ২৪ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন মোদী। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে মিশরে রয়েছেন।তিন দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোদী ইউএস কংগ্রেসে একটি যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য দেন। কংগ্রেসে মোদীর বক্তব্যের ঠিক আগে সিএনএন ওবামার ওই সাক্ষাৎকার প্রচার করে।যেখানে সিএনএন এর সাংবাদিক তথাকথিত ‘সংকীর্ণ গণতন্ত্রবাদীরা’ ‘প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্য কতটা হুমকি’ তা উল্লেখ করে তারপর মোদীকে নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেন।প্রশ্ন-উত্তরের এক পর্যায়ে ওবামা বলেন, ‘‘যদি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন তবে সেখানে হিন্দু সংখ্যাগুরুর দেশ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকারের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত। সূত্র; বিডি নিউজ
‘যে স্ত্রীকে অফিসার বানালাম, সে-ই প্রেমিকের সঙ্গে হুমকি দিচ্ছে’
স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘটেছে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী স্বামীর অভিযোগ, স্বেচ্ছায় বিবাহবিচ্ছেদ না করলে খুন করে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন স্ত্রী এবং তার হোম গার্ড অফিসার প্রেমিক।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই সরকারি কর্মচারী। একই সঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে প্রয়াগরাজের ধুমানগঞ্জ থানা এবং হোম গার্ড সদর দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি রাজ্যের পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের কর্মচারী। তার স্ত্রী বরেলী সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। স্ত্রীর প্রেমিক উত্তরপ্রদেশের হোম গার্ড বিভাগের একজন অফিসার।ওই ব্যক্তির অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রী এবং তার প্রেমিক তাকে ফোন করে হুমকি দেন। বিবাহবিচ্ছেদে রাজি না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফেও তাকে সাহায্য না করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।খবরে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এখনো এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেনি। তবে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হোম গার্ড বিভাগ। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়