প্রকাশিত: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ঢাকা-চট্টগ্রামের ১০ পশুর হাটে ‘ক্যাশলেস’ লেনদেন
ই-কমার্সের মাধ্যমে গরু কিনলে ক্যাশলেস বা নগদ টাকার পরিবর্তে ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ আছে। তবে সাধারণত সরাসরি হাট থেকে কোরবানির পশু নগদ টাকায় কিনতে হয়। এতে টাকার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে ভয়ে থাকেন। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১০টি পশুর হাটে ‘ক্যাশলেস’ বা নগদবিহীন লেনদেনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব হাটে নগদ টাকার পরিবর্তে কার্ডের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পশু কেনা যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ নামে কোরবানির পশুর এই ১০ হাটে একটি করে ডিজিটাল বুথ থাকবে। সেখানে এটিএম মেশিন থেকে টাকা ওঠানো যাবে। পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) যন্ত্র ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) মাধ্যমে ক্রেতারা পশু বিক্রির টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এতে বাসা থেকে টাকা বহন করার ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন ক্রেতারা। সূত্র: প্রথম আলো
১৫ মাসে চার সাংবাদিক খুন
১৭ মাসে নির্যাতনের শিকার ৩২৭ জন
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি উন্মোচন করতে গিয়ে দেশে সাংবাদিক হত্যার পাশাপাশি নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেশে ১০১ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ২২৬ জন সাংবাদিক। গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই চার মাসে হত্যা করা হয়েছিল তিনজন সাংবাদিককে। সর্বশেষ গত বুধবার জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিমকে হত্যা করা হয়। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১৫ মাসে হত্যার শিকার হন চারজন সাংবাদিক।মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা প্রতিবেদন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অপরাধ পর্যালোচনা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে মানবাধিকারকর্মী নুর খান লিটন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা ও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হত্যা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ মিটার রিডার পদ
ঢাকা ওয়াসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (মিটার রিডার) মীর মো. তালেবুল ইসলাম তালেব। সব মিলে এখন বেতন ২৪ হাজার ১১০ টাকা। রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরায় তিনটি ফ্ল্যাটের মালিকানা তাঁর। সরেজমিন ফ্ল্যাটগুলোর সত্যতা পেয়ে যাচাইয়ে দেখা যায়, এগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা। স্বল্প বেতনের চাকরি করেও এত টাকার সম্পদ কীভাবে করা সম্ভব– জানতে চাইলে তালেবুল ইসলাম সমকালকে জানান, ২০০৫ সালে চারজন মিলে প্লট কেনেন। সমান অনুপাতে খরচ দিয়ে বাড়ি করার পর ভাগে তিনটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। একটিতে পরিবার নিয়ে থাকছেন, বাকি দুটি ভাড়া দেওয়া। ভবন নির্মাণে মোট খরচ বলতে নারাজ তালেবুল গর্ব করেই বলেন, ‘অস্বচ্ছতার লেশমাত্র নেই। সবকিছু আয়কর রিটার্নে দেখানো আছে।ওয়াসা কর্তৃপক্ষও জানে। এ জন্যই সততার পুরস্কার হিসেবে সম্প্রতি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার (সিনিয়র মিটার রিডার) দায়িত্ব পেয়েছি।’ তালেবুলের মতো ঢাকা ওয়াসার বেশিরভাগ মিটার রিডার ‘আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ হাতে বসে আছেন। শুধু ঘষতে দেরি, সম্পদ হতে দেরি নেই। পানির দর কষতে যে বেগে মিটারের চাকা ঘুরছে, তার চেয়েও বুলেট গতিতে তাঁদের ভাগ্য বদলে গেছে। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে মিটার রিডাররা ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি-গাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সমকালের অনুসন্ধানে এমন ডজনখানেক কর্মচারীর অঢেল সম্পদের তথ্য মিলেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিটার রিডাররা বাণিজ্যিক বিলকে আবাসিক হিসাবে করে মালিকের কাছ থেকে কমিশন নেন। রিডিং কমবেশি দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণ, এমনকি ৩ লাখ টাকার বিল ২৫ হাজার করার মতো নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেন। তাঁরা কেউই বিত্তশালী পরিবারের না হলেও এখন দামি বাড়ি-গাড়ি ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও ঢাকা ওয়াসার এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) তাকসিম এ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানি সমকালকে বলেন, ‘মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগ অস্বীকার কিংবা মিথ্যা বলার অবকাশ নেই। নিজেই অনেক অনিয়ম ধরে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং কয়েকজনকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হলে, কথা বলায় বোর্ড মিটিংয়ে আমাকেই অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব তোলা হয়।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘ওয়াসার মিটার রিডাররা যে বেতন-ভাতা পান, তার সঙ্গে অর্জিত সম্পদের অসামঞ্জস্য স্পষ্ট। সূত্র: সমকাল
১৪ বছরে বেড়েছে ৭৩৪৬ কোটি ডলার
বৈদেশিক ঋণ এখন গলার কাঁটা
দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েই যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ সবচেয়ে বেশি। স্বল্পমেয়াদি ঋণেই ঝুঁকি বেশি। সরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ কম। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি। গত ১৪ বছরে দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৭ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার বা ৩২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক মন্দায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় এখন বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ডলার সংকটে নিয়মিত ঋণ শোধ করতে না পারায় এর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এতে ঋণের অর্থও বেড়ে যাচ্ছে। একদিকে ডলার সংকট, অন্যদিকে ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার কারণে বৈদেশিক ঋণ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই ডলার সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত ১৪ বছরে দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৭ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার।
২০০৮ সালের শেষে মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ২ হাজার ২৭৯ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬২৫ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ৩২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে ওই সময়ে মোট দেশজ উৎপাদন বেশি বেড়েছে, সে তুলনায় বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে কম। যে কারণে জিডিপির আকারের অনুপাতে বিদেশি ঋণ এখন আগের চেয়ে কমেছে।- সূত্র: যুগান্তর
যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের ভোট দেবে। জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে, সে সরকার গঠন করবে। এটা গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জেনেভায় হিলটন হোটেলে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে, তাদের খারাপ কর্মকা-ের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে। তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না। অতীতে তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করার পূর্বশর্ত মেনে নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল।’ তিনি বলেন, সুতরাং জনগণ তাদের (বিএনপি) আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং সে কারণেই তারা জনগণের ভোট পায় না। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এতটা দুর্বল নয়। তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নিয়ে হইচই ছিল, তারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে, আমরা এমন দুর্বল পর্যায়ে নেই যে তারা আমাদের পতন ঘটাবে, আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে, আমাদের শক্তি আমাদের জনগণ।’ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, কিন্তু বিএনপি এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।’ বিএনপি কি পাগল নাকি শিশু হয়ে গেল- প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন, পাগল বা শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘চোরদের, স্বাধীনতাবিরোধীদের ও খুনিদের ক্ষমতায় এনে আমরা বাংলাদেশকে অন্যের কাছে মাথা নত হতে দেব না।’ বিএনপি এখন নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে, নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে, যারা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়েছে, এটাই এখন মূল ইস্যু যে তারা দ-িত ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে কি না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
রপ্তানির বহুমুখীকরণ এখনও একটি মিথ, কারণ…
সামগ্রিক রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের হিস্যা ৮৪ শতাংশের বেশি—আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের হিস্যা ২.২ শতাংশ, প্লাস্টিকের হিস্যা মাত্র ০.৩৮ শতাংশ এবং প্রকৌশল পণ্যের হিস্যা ১ শতাংশ। বলা হয়, এক পণ্যে নির্ভরতা দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তবে দেশের অন্য কোনো খাতও এখন পর্যন্ত নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পের কাছাকাছিও আসতে পারেনি। রপ্তানি ঝুড়িতে বৈচিত্র্যে আনার সম্ভাবনা আছে, এমন খাতগুলোর মধ্যে আছে: চামড়া ও জুতা, হালকা প্রকৌশল এবং প্লাস্টিক। কিন্তু মাসিক রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই উৎপাদিত পণ্যগুলোর কোনোটিই এক নম্বর অবস্থানে থাকা খাতটির ধারেকাছেও নেই। আরএমজি খাতের রপ্তানির হিসাব বিলিয়নে করা হলেও অন্যগুলোর হিসাব এখনও কয়েক মিলিয়নেই আটকে আছে। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের ভোট দেবে। জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে, সে সরকার গঠন করবে। এটা গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জেনেভায় হিলটন হোটেলে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে, তাদের খারাপ কর্মকা-ের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে। তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না। অতীতে তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করার পূর্বশর্ত মেনে নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল।’ তিনি বলেন, সুতরাং জনগণ তাদের (বিএনপি) আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং সে কারণেই তারা জনগণের ভোট পায় না। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এতটা দুর্বল নয়। তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নিয়ে হইচই ছিল, তারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে, আমরা এমন দুর্বল পর্যায়ে নেই যে তারা আমাদের পতন ঘটাবে, আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে, আমাদের শক্তি আমাদের জনগণ।’ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, কিন্তু বিএনপি এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব কি
একদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। অন্যদিকে উচ্চ সুদহার, বিনিয়োগ হ্রাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। সব মিলিয়ে ২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালটিও বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ভালো যাবে না বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, পরিস্থিতির আরো অবনতি না হলে চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশে। তবে মূল্যস্ফীতির হার ধারণার চেয়ে বেশি হলে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদহার বৃদ্ধির প্রবণতা বজায় থাকলে অথবা বিভিন্ন অঞ্চলে ভূরাজনীতির উত্তেজনা আরো বাড়লে গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিই মন্দার দিকে ধাবিত হবে বলে আশঙ্কা বিশ্বব্যাংকের। সংস্থাটির এ আশঙ্কা এরই মধ্যে বাস্তব রূপ নিতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির মাত্রা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও আগ্রাসীভাবে সুদহার বাড়িয়ে চলেছে। আঞ্চলিক পর্যায়ের ভূরাজনীতিতেও দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন উত্তেজনা। সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা, ৮০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম একই দশকের মধ্যে দুই দফায় মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। যদিও বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্যমতে, অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে বিবেচিত প্রায় প্রতিটি সূচকেই এখন দেখা যাচ্ছে নিম্নমুখী প্রবণতা। মূল্যস্ফীতির হার গত মাসেও ছিল দুই অংকের কাছাকাছি। জিডিপির প্রায় ৯০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ। দুটোই জিডিপির প্রক্ষেপিত হারের অনেক নিচে। রফতানি কিছুটা বাড়লেও আমদানিতে নিয়ন্ত্রণের কারণে সার্বিক বৈদেশিক বাণিজ্যও এবার কমতির দিকে। বাজেট বাস্তবায়নের হার লক্ষ্যের চেয়ে অনেক কম। জ্বালানি সংকট, কাঁচামালের দামে ঊর্ধ্বগতি এবং উৎপাদন সক্ষমতা কমায় বৃহৎ শিল্প খাতেও শ্লথ হয়ে এসেছে প্রবৃদ্ধি। কৃষি খাতে কিছুটা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ১৫ শতাংশেরও কম। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপিতে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে বড় ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।
পুরনো ভবনকে যে সাতটি উপায়ে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা করা যায়
আবারো ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে ঢাকা ও সিলেট শহরে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে এ দুটি শহর ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। গত দুই মাসের মধ্যে ঢাকায় এনিয়ে দুবার ভূমিকম্প হলো।ভূমিকম্পে সবচেয়ে ঝুঁকির বিষয় হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ভূমিকম্প বিষয়ক বিল্ডিং কোড না মানা। এ বছর তুরস্ক ও সিরিয়ার ভুমিকম্পে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পেছনে সেই কারণই উঠে এসেছিলো। বড় ভূমিকম্পে ঘনবসতি শহর ঢাকার ভয়াবহতা কতটা হতে পারে তার একটি চিত্র উঠে এসেছে রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়।তাদের হিসেবে টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকায় ধসে পড়তে পারে সাড়ে ৮ লাখের বেশি অর্থাৎ প্রায় ৪০% স্থাপনা। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি আড়াই হাজার কোটি মার্কিন ডলার বা আড়াই লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। আবার সিলেটের ডাউকি চ্যুতিরেখায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকায় ধসে পড়তে পারে প্রায় ৪১ হাজার স্থাপনা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
সিলেট সিটিতে ৫৬.৫৬% প্রার্থীই ব্যবসায়ী: সুজন
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিনশ প্রার্থীর বেশির ভাগই ব্যবসায়ী ও স্বল্পশিক্ষিত বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সিলেট। নাগরিক এ সংগঠনটি বলছে, এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫৬ শতাংশে, যেখানে ২০১৮ সালে তা ছিল ৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ।“এই প্রবণতা নির্বাচনে অর্থের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষণ বলে অনেকে মনে করেন। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়ীদের আধিক্য এবং অন্যান্য পেশার প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পাওয়া ইতিবাচক নয়। একইসাথে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও মঙ্গলজনক নয়।” বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ সরকার।তিনি বলেন, “আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতায় প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ জনগণের কাছে তুলে ধরতে চাই। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কী ধরনের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সে সম্পর্কে ভোটাররা ধারণা পাবেন এবং ভোটারদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল প্রার্থী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগেও আগ্রহী হবেন তারা।” সূত্র: বিডি নিউজ