প্রকাশিত: ১:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৩
কুমিল্লা সংবাদদাতা
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হুইল চেয়ারে বসা আমির হোসেনকে (৬৫) কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ফুপাতো ভাই। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দাউদকান্দি উপজেলার টামটা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওসমান গনি নাসিম(৫৫) একজন পল্লি চিকিসৎক। নিহত আমির হোসেন তার ফুফাতো ভাই। তারা উভয়েই টামটা গ্রামের বাসিন্দা।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের পর ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির সামনে হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন আমির হোসেন। এ সময় হঠাৎ করে হাতে কোদাল নিয়ে ঘাড়ে জোরে একাধিকবার আঘাত করেন নাছির। এ সময় আমির হোসেন হুইল চেয়ার থেকে সড়কে পড়ে যান। এরপর আমির হোসেনকে আরও জোরে জোরে কোদাল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন নাছির। পরে সেখান থেকে নিজের বাড়িতে চলে যান নাছির। স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় আমির হোসেনকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।
থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা জানান, টামটা গ্রামের এবিএম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার এবং আমির হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্তে বিরোধ চলছিল। সম্পর্কে তারা আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকালে আমির হোসেন বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর গেলে তাকে একা পেয়ে নাসিম ডাক্তার (৫৫) অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমির হোসেন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আমির হোসেনের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হাবিবুর রহমানকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীফ (২৫) ও মহিউদ্দিনকে (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আরও বলেন, হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ওসমান গনিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সারাদিন/১৪ জুন/এমবি