প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩
বরিশাল সংবাদদাতা:
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় যারা যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ দুই সিটির ভোট সিসি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বরিশালের পরিবেশ দেখলাম, খুব ভালো ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে এটা আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না।
প্রথমে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও পরে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে অন্যায় করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে-বলেও জানান তিনি।
এর আগে কেন্দ্রে পরিদর্শনকালে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম।
ফয়জুল করীম জানান, নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে ৮৭ নম্বর কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখি নৌকার সমর্থকরা ভোটকক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলছেন, নৌকায় ভোট দিলে দাও, না হলে চলে যাও। এসময় আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে এসব বিষয় বলছিলাম। তখন নৌকার কর্মীরা এসে আমাকে ও আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে। বিষয়টি সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)। এ ছাড়াও নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।