প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
বেসিক ব্যাংকে দুর্নীতি মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা দায়ের করার প্রায় ৮ বছর পর ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। এদের মধ্যে বাচ্চুসহ ব্যাংকের কর্মকর্তা ৪৬ জন। আর গ্রাহক ১০১ জন। চার্জশিটে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আরিফ সাদেক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চার্জশিটে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি জানান, ১৩ বছর আগে করা বেসিক ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৫৯টি মামলায় দুদক চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে। আসামিদের মধ্যে ১০১ জন গ্রাহক, ৪৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা। এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজ সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংক ৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাই নিয়ম ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে। ফলে ২০১৪ সালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ করা হয়। সে বছরের ২৯ মে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিছুদিন পর ৪ জুলাই শেখ আবদুল হাই বাচ্চু পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবতে বসা বেসিক ব্যাংকের ২০২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর দায়িত্বকালটা স্বস্তির ছিল না। অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনিয়মের অভিযোগে দুদক ২০১৫ সালে ৫৯টি মামলা করে। তবে এত বছরে একটি মামলায়ও দুদক অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি। দুদকের এই ব্যর্থতায় গত বছর ২৮ নভেম্বর হতাশা প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত।