প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
এক আসামি কারাগারে, অন্যজন নিহত, সাজা হলো পলাতক হিসেবে
চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর ২০ বছর ধরে কারাগারে বন্দী। আরেক সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ার ১৭ বছর আগে মারা যান ‘বন্দুকযুদ্ধে’। চট্টগ্রাম আদালতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গত ৩১ মে দুজনের ২০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে পলাতক আসামি হিসেবে। কারণ, পুলিশের খাতায় এখনো তাঁরা পলাতক।আলমগীর ও দেলোয়ার চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী হিসেবে আলোচিত নাম। ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন খানের সহযোগী তাঁরা। দুই দশক আগের আলোচিত বহদ্দারহাটের আট খুন ও নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তাঁরা দুজন। সুত্র: প্রথম আলো
মেয়র পদে মূল আকর্ষণ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চার প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও বরিশাল মহানগরজুড়ে এখন আলোচনায় বিএনপির ভোট। মেয়র পদে জয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ভোট বড় নিয়ামক হবে বলে মনে করছেন প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকরা।
আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, বরিশালে এবার আওয়ামী লীগবিরোধীদের ভোট কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটি নৌকার জয়ের জন্য সহায়ক হবে। কারণ নৌকাবিরোধীদের ভোট একক কোনো প্রার্থীর পক্ষে গেলে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো।বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে পুরো নগরীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার ছিল নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ
ডলার সংকটে আমদানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কমেছে * রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে অর্জিত হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা * শিল্প, কৃষি ও সেবা খাতে কমেছে উৎপাদন
সার্বিকভাবে আমদানির নতুন এলসি খোলা কমলেও বকেয়া এলসি দায় পরিশোধের চাপ এখন বেড়েছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি। এতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বেড়েছে। এদিকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে প্রত্যাশিত হারে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়ছে না। ফলে ডলারের চাহিদা বাড়ায় টাকার মান কমে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের চাপে লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ অব্যাহত গতিতে কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টাকার মানে ও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা রাখতে রিজার্ভ বাড়ানো অপরিহার্য। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়ে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া ও অন্যান্য প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাবও অর্থনীতিতে পড়বে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে পড়ায় সার্বিকভাবে নিট বৈদেশিক সম্পদে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় প্রত্যাশিত হারে না বাড়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মোট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৭২ শতাংশই আসে এ দুটি খাত থেকে। সূত্র; যুগান্তর
রাজনীতিতে নতুন চাঞ্চল্য
দীর্ঘ ১০ বছর পর জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনীতিতে। নানা প্রশ্ন সবার মনে– তাহলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত কি আবার প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরছে? সরকার কি তার কৌশলে পরিবর্তন এনেছে? নাকি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির সুফল পেতে শুরু করেছে জামায়াতও? এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বলছে, এটি ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানি। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন সামনে রেখে আবারও আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিতে বিএনপিই জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াতের বিষয়ে কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, সব রাজনৈতিক দলেরই সভা-সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। সূত্রমতে, জামায়াত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পরিকল্পনা করেছে। মহানগর ও জেলা পর্যায়েও কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইবে দলটি। দলটির নেতারা বলছেন, সমাবেশের অনুমতি দিলে ভালো। না দিলেও ক্ষতি নেই। অনুমতি না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে, বিরোধী দলের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, মার্কিন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই জামায়াতকে প্রকাশ্যে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ এ নীতিতে বলা আছে, শান্তিপূর্ণভাবে সভা, সমাবেশ ও মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া যাবে না। সূত্র: সমকাল
তলানিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য
♦ বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা ♦ অধিকাংশের সমস্যা হতাশা, অবসাদ, একাকিত্ব ♦ মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার ♦ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা ♦ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট
‘শেষমেশ একাকিত্বই আমাকে গিলে খেল।’ ৮ জুন হতাশার কথা চিরকুটে লিখে ছাত্রাবাসে নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেন তানভীর ইসলাম। তানভীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ছয় মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তিনজন এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দুজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। মানসিক অবসাদ ও পারিবারিক সমস্যার কারণেই তারা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন। দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছে। কাক্সিক্ষত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে কিংবা কোনো পরীক্ষার ফল খারাপ হলে লোকলজ্জার শঙ্কায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাস মহামারি-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থী, অন্যান্য পেশাজীবী এবং বিভিন্ন বয়সী মানুষের মানসিক সমস্যা, অবসাদ, হতাশা বেড়েছে। শিক্ষাজীবনে দুই বছরের ক্ষতি, স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হওয়া, ইন্টারনেটে আসক্তি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যায় সহায়তা করতে কাউন্সেলিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। গুটিকয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সেরকম ভূমিকা রাখতে পারছে না। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে দেশে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশে বর্তমানে মানসিক রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৩৫০ জন এবং কাউন্সেলিংয়ের জন্য সাইকোলজিস্ট রয়েছেন ৫০০। তাই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কিশোর-তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বিশ্বজুড়েই বেড়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
দুবাইয়ের সঙ্গে আরো জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি এখন বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎসও। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রেও সামনে আসছে আরব আমিরাতের নাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশে ৫৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ৮৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স আহরণের উৎস হিসেবে শীর্ষস্থানে ছিল আরব আমিরাত। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৯২ শতাংশের বেশি। একই সময়ে প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স কমেছে ১৯ শতাংশ। চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০৮ কোটি বা ১৪ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার। আর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি মিলিয়ে বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার। বেসরকারি খাতে এ বিদেশী ঋণের অন্যতম উৎস হলো ইউএই। দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ২৩২ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের ঋণ এসেছে। বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের ক্ষেত্রে ইউএইর নাম রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এক্ষেত্রে প্রথম স্থানটি সিঙ্গাপুরের। সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ এসেছে ৩১২ কোটি ৫২ লাখ ডলার। সূত্র: বণিক বার্তা।
হরেক স্মৃতি রেখে হারিয়ে যাচ্ছেন পাথর খুঁড়ে নাম লেখার কারিগরেরা
শ্বেতপাথরের ওপর বাড়ির নাম ‘আনন্দ নিকেতন’ বা ‘মাতৃছায়া’ লেখা আজও চোখে পড়ে অল্পবিস্তর। নব্বই দশকেও এই কাজের কারিগরদের সম্মান ছিল, চাহিদাও ছিল বেশ। তারপর এলো সময়ের ধাক্কা, প্লাস্টিক, পিতল পাথরকে পেছনে ঠেলতে থাকল, আধুনিক প্রযুক্তি কারিগরদের জায়গা দখল করল। তার ওপর শাঁখারিবাজার থেকে নতুন নতুন দোকান ছড়িয়ে পড়ল বায়তুল মোকাররম, নীলক্ষেত, মালিবাগ বা মিরপুর এলাকায়। ফলে কাজ ভাগাভাগি হয়ে গেল। চার আনায় এক হরফ-মোঃ মোশারফ হোসেন ২৬ বছর পাথর খোদাইয়ের কাজ করেছেন। এখন খোদাই ছেড়ে কেবল ফরমায়েশ (অর্ডার) নেন এবং নির্দিষ্ট দিনে সরবরাহ করেন। খোদাইয়ের কাজ এখন হয় খুবই কম বরং কেমিক্যাল দিয়ে পাথর খাওয়ানোর কাজ হয়। এ কথাটা কিছু ব্যাখ্যার দাবি রাখে।শাঁখারিবাজারের যেখানটায় কোর্ট হাউজ স্ট্রিট শুরু তার মুখেই মিতা মার্বেল স্টোর। সামনের দিকে দুই ফুট বাই দেড় ফুটের তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক (স্ল্যাব) রাখা। তিনটিই পিতা বা মাতার বাঁধানো কবরের দেয়ালে লাগানো হবে। সবার ওপরে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, তারপর মৃত ব্যক্তির নাম, পিতার নাম, জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ ইংরেজি ও আরবি সনের হিসাব দিয়ে লেখা। সব মিলিয়ে এক বা দেড়শ শব্দ একেকটি ফলকে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
বর্তমানে খোদাইয়ের বদলে কম্পিউটারে ডিজাইন করে স্টিকারে প্রিন্ট নেওয়া হয়। তারপর স্টিকারের ফাঁকা জায়গাগুলো দিয়ে কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ) ঢেলে দিলে সেই জায়গা খোদাই হয়ে যায় যাকে চলতি ভাষায় ‘পাথর খাওয়ানো’ বলা হয়। পরে খোদাই হওয়া শব্দ বা বাক্যে কাস্টমারের চাহিদামতো রং করা হয়। অথচ ১৯৮৯ সালে মোশারফ হোসেন প্রতি হরফ খোদাই বাবদ পেতেন চার আনা। দিনে ৪-৫টি পাথর কাটতে পারতেন। তাতে দেড়শ বা দুইশ টাকা মজুরি উঠত। সেসময়ের জন্য এটা অনেক টাকা ধরতে হয়।
রোগ-পোকায় বছরে নষ্ট ২০ শতাংশ ফসল
দেশে রোগ ও পোকার আক্রমণে উৎপাদিত ফসলের ১৫-২০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। ফসলের রোগবালাই ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে গড়ে না উঠলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি বেড়ে ৩০-৪০ শতাংশ বা তার বেশিও হতে পারে। গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। শেকৃবির শেখ রাসেল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে উদ্ভিদ রোগবালাইয়ের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আগামীর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে উৎপাদন সক্ষমতা। তবে কৃষির এত সাফল্যের পরও দেশে ফসলের রোগবালাই ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে দেশে প্রতিনিয়তই রোগবালাই বাড়ছে। এতে রোগ ও পোকার আক্রমণে সক্ষমতার চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ ফসল কম উৎপাদিত হচ্ছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে বেড়ে ৩০-৪০ শতাংশ বা তার বেশিও হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে উৎপাদিত ফসলগুলোর মধ্যে ধানের বিএলবি, নেক ব্লাস্ট, ফলস স্মাট (লক্ষ্মীর গু বা ভুয়াঝুল রোগ), গমের ব্লাস্ট, সবজির গামি স্টেম ব্লাইট ও পেপের রিং স্পট ভাইরাস ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এসব রোগ এখন ফসল উৎপাদনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
‘সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৎপরতা আরো বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের’
সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৎপরতা আরো বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের-দৈনিক দেশ রুপান্তরের একটি শিরোনাম। এ খবরে বলা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের তৎপরতা আগের চেয়ে বেড়েছে, বিশেষ করে গত ২৪শে মে ভিসানীতি ঘোষণার পর থেকে।এই তৎপরতা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস গত ১৩ দিনে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকেও যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যার যার ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, সোমবার বরিশাল ও খুলনা এই দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন, এ নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক। খুলনা ও বরিশালে নগরপিতা কে নির্ধারিত হবে কাল – দৈনিক সংবাদের প্রধান শিরোনাম। এ খবরটিতে বলা হয়েছে সিটি ভোট নিয়ে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ কম। তাই ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দুই সিটিতেই বিএনপির প্রার্থী নেই। সূত্র : বিবিসি বাংলাা।
৪০৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপাকে
শাহজালাল ব্যাংকের গলার কাঁটা ঢালি কনস্ট্রাকশন
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালি কনস্ট্রাকশনের ঋণ অধিগ্রহণ ও নতুন করে ৪০৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে বেসরকারি খাতের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। পর্যাপ্ত জামানত ছাড়াই ঋণ বিতরণের সময় গ্রাহকের আর্থিক অবস্থাও যাচাই করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ব্যাংকের শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদ এই অনিয়মের দায় এড়াতে পারে না। জানা গেছে, ট্রাস্ট ব্যাংকের রাজধানীর দিলকুশা শাখা থেকে ২০১৩ সালে ১২৯ কোটি টাকা ঋণ নেয় ঢালি কনস্ট্রাকশন। ২০১৫ সাল শেষে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৬ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ট্রাস্ট ব্যাংকের ঋণটি অধিগ্রহণ করার জন্য শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে আবেদন করে ঢালি কনস্ট্রাকশন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ট্রাস্ট ব্যাংকে ঢালি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ১১৮ কোটি টাকার ঋণ অধিগ্রহণ করে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা। ডিসেম্বর মাসেই শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ঢালি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে অতিরিক্ত ১৮৮ কোটি টাকা ফান্ডেড এবং ৭০ কোটি টাকার নন-ফান্ডেড ঋণ বিতরণ করে। ২০১৭ সালের আগস্টে আরও ১১৫ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৮৫ কোটি টাকা ফান্ডেড এবং ৩০ কোটি টাকা নন-ফান্ডেড। কোন কার্যাদেশের বিপরীতে কত টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে সেটাও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে পারেনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। সূত্র: বাংলানিউজ