প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ভোলায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন গ্যাসক্ষেত্রটিতে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই গ্যাসের বাজারমূল্য ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর যদি আমদানি করা এলএনজির দর বিবেচনা করা হয়, তাহলে মূল্য দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা। নসরুল হামিদ বলেন, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ, সৌভাগ্যের বিষয়। ভোলায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩ টিসিএফ গ্যাস মজুত আশা করা হচ্ছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর ঠিক ওপরের দিকে নতুন গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করা হয়েছে। ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এখান থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে।নসরুল হামিদ বলেন, ভোলায় একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরও একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে পাইপলাইনে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে। একটি পাইপলাইন ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে। প্রি-ফিজিবিলিটি শেষ, এখন ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে।
প্রতিদিন গড়ে ৯ জনের বেশি খুন
দেশে গত এপ্রিল মাসে প্রতিদিন গড়ে ৯.২ জন করে খুন হয়েছে। এই মাসটিতে মোট ২৭৬ জন খুন হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও কন্যাশিশু ছিল ৩৫ জন। গত বছরের এপ্রিল মাসে ২৬৭ জন হত্যার শিকার হয়।রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ, মাদক, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক দ্বন্দ্বসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা পারিবারিক শিক্ষা ও মেলবন্ধন জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে সামাজিক নজরদারি বাড়াতে ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
গত এপ্রিল মাসের ঘটনাগুলোর মধ্যে গুলিতে মারা গেছে ১৭ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ৭৭ জন। অন্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে ১৮৪ জন। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা একাধিক বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, গত এপ্রিলে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে আটজন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, একই সময় নারী ও কন্যাশিশু খুন হয়েছে ৩৫ জন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
চিঠিতে কূটনৈতিকদের যা বললেন জাহাঙ্গীরের মা
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এ ছাড়া চিঠিতে তিনি কূটনীতিকদের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন।রোববার কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাছে লেখা এক চিঠিতে জায়েদা খাতুন এ দাবি জানান।তিন পাতার চিঠির প্রথম একটি পাতা দৈনিক বাংলার হাতে এসেছে। ইংরেজিতে লেখা জায়েদা খাতুনের চিঠিটি চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারকে দেয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২৩ পর্যবেক্ষণ করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ বেশ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুরোধ করা হয়। এমনকি নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
শূন্য করের দিন শেষ!
কর রিটার্ন দাখিল করেন কিন্তু করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর ধার্য করার কথা ভাবছে সরকার। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নিম্ন-আয়ের মানুষের ওপর বোঝা হবে; পাশাপাশি করমুক্ত আয়সীমার ধারণারও পরিপন্থী হবে।এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে ন্যূনতম কর-সংক্রান্ত নতুন নিয়ম এবং মৃত্যু বা আয় না হওয়ার ক্ষেত্রে টিআইএন-এর (কর শনাক্তকরণ নম্বর) নিবন্ধন বাতিল করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।কর্মকর্তারা বলেন, ন্যূনতম কর ধীরে ধীরে সমস্ত টিআইএনধারীদের ওপর আরোপ করার সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণিতে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৮৬ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন। যে ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখের করযোগ্য আয় নেই। এই ৮ লাখ ব্যক্তির ওপর ন্যূনতম কর ধার্য করা হলে সরকারের বাড়তি ১৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
কী চায় যুক্তরাষ্ট্র
সংকট নেই দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্কে
রাজনৈতিক দু-একটি ইস্যুতে কথা-পাল্টা কথা থাকলেও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ধরনের সংকট দেখছেন না ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনীতিকরা। তাঁরা বলছেন, সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এগিয়ে যাচ্ছে সম্পর্ক। কয়েক ধরনের প্ল্যাটফরমে ইস্যুভিত্তিক এসব আলোচনা চলছে নিয়মিতই। এর অংশ হিসেবে কর্মকর্তা পর্যায়ে সফর বিনিময় বেড়েছে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে। এর অংশ হিসেবে শ্রমমান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একটি দল এখনো ঢাকা সফর করছেন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কোনো ইস্যু দেখছেন না কেউ। যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বিস্তৃত ও গভীর’ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায়। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা না হলেও মন্তব্য করেছেন সরকারের একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার ধারণা তারা স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) দেবে না। তারা বাস্তবতাটা বুঝবে। তারা একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করবে। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় নির্বাচন হতে হবে, সেটা কোনো দিনই হবে না। সংবিধানবহির্ভূত কিছু হবে না। তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হওয়া দরকার। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রতিদিন বিএনপি যেসব অভিযোগ আনছে, এর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে কিছু বিদেশি শক্তি। জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে আমাদের বাস্তববাদী হতে হচ্ছে। বাস্তবতার আলোকে দেশ ও জাতির স্বার্থে, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গি দমনে অনেক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সেটার জন্য যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটা কতটা যুক্তিসংগত? তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা যদি দেয় একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের এর মধ্য দিয়েই চলতে হবে। আরও যদি নিষেধাজ্ঞা দেয় সেটা বলছি। চায়নার বিরুদ্ধে কত কিছু বলছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।
৪২ হাজার আসামি লাপাত্তা
গুলশানের আলোচিত মাদক কারবারি শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানকে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাস তিনেক ছিলেন কারাগারে। আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন, তারপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে গেছেন দুবাই।
গাজীপুরে ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে একটি ব্যাংকের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিন নেন মঞ্জুরুল আলম রতন নামে এক আসামি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান আরব আমিরাত।এই দুই আসামির মতো গত ১০ বছরে ঢাকাসহ সারা দেশের অন্তত ৪২ হাজার আসামির হদিস মিলছে না। তাদের মধ্যে জঙ্গি, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ নানা অপরাধের আসামি রয়েছে। ওইসব আসামির আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা গরহাজির বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানায়, যেসব আসামির হদিস নেই তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, সব ইউনিট ও রেঞ্জ ডিআইজি ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের। এলাকাভিত্তিক তালিকা করতে থানার ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপাররা। ইতিমধ্যে তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য
দুই বছরে গরমিল ১৩ বিলিয়ন ডলার
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে বড় ধরনের ফারাক থেকেই যাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার চীন। যদিও এ বাণিজ্য দুই দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে ব্যবধান দিনে দিনে বড় হচ্ছে। চীনের বাণিজ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে দেশটির শুল্ক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে এ কাজটি করে থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সমন্বিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার নিয়ে ২০২১ সালে দুই দেশের সরকারি তথ্যের ব্যবধান ছিল ৫৬৮ কোটি ১ লাখ ডলার। গত বছরের পরিসংখ্যানে এ ব্যবধান আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে অনুযায়ী গত দুই বছরে দুই দেশের বাণিজ্য তথ্যে গরমিলের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি (১৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। অভিযোগ আছে, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে (আমদানি মূল্য প্রকৃতের চেয়ে কম দেখানোর কৌশল) ব্যবসায়ীদের অনেকেই শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিংয়ের (মূল্য বাড়িয়ে দেখানো) মাধ্যমে চীন হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও মিলছে। ব্যবসায়ীদের এ দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর প্রবণতাকেই এখন দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে গরমিলের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন দূতাবাসের নতুন বিবৃতি
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সতকর্তা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ঢাকাসহ সারাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছে তারা। গতকাল রবিবার বিকালে মার্কিন দূতাবাস ‘ডেমোনস্ট্রেশন অ্যালার্ট’ শিরোনামে হালনাগাদ ভ্রমণ সতর্কবার্তায় এ পরামর্শ দিয়েছে।সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের জন্য জারি করা ওই সতর্কবার্তা ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্য শহরগুলোর জন্যও প্রযোজ্য হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির
আগে বা ওই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সমাবেশ এবং অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বিক্ষোভের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে পারে এবং এগুলোর গতি তীব্রতর হতে পারে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের আগাম সতর্কতা মেনে চলা উচিত। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়
‘পেঁয়াজের বর্তমান দাম অস্বাভাবিক,’ বলছেন কৃষিমন্ত্রী, দ্রুত আমদানির উদ্যোগ
বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে বাজারে ৬০ টাকার মধ্যে এক কেজি পেঁয়াজ মিললেও রোববার এটি বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে রবিবার বিকালে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, “টিসিবির তথ্যানুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য এক মাস পূর্বে ৩০ টাকা ছিল যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে এবং বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে মূল্য স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।” একারণে জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদানের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। অনুমতি পেলে আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে পারবে।এর আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরও এত দাম বৃদ্ধি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। “বর্তমান দাম অস্বাভাবিক। ৮০ টাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।”তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দামটা রিজনবল রাখার চেষ্টা করবো, না হলে কয়েকদিনের মধ্যে ইমপোর্টে যেতে হবে।”এর কয়েকঘন্টা পরই কৃষি মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি ইস্যু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
আবাসিককে বাণিজ্যিক প্লট করার সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন
গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং উত্তরার কয়েকটি সড়কের পাশের আবাসিক প্লটকে বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার কয়েকটি এলাকায় আবাসিক প্লটকে বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তরের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাতে গলদ দেখছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। আবাসিক এলাকায় বসবাসরতদের মধ্য থেকেও আসছে আপত্তি। রাজউকের যুক্তি, বিভিন্ন আবাসিক প্লটকে এখন অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ভবনে রূপ দেওয়া হয়েছে, নতুন সুযোগ সেই পথ বন্ধ করবে।তবে এই সুযোগে নিতে রাজউকে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং উত্তরার কয়েকটি সড়কের পাশের আবাসিক প্লটকে বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়ে গত ৩ মে পরিপত্র জারি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কোন যুক্তিতে? কী কারণে এই পদক্ষেপ- জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ছোট ছোট সড়কে অনেকে নানা কায়দায় বাণিজ্যিক ভবন করে নিয়েছে। তা শৃঙ্খলায় আনতে চান তারা। যেমন বনানী ১১ নম্বর রোড, এটা আগে ঘোষিত বাণিজ্যিক রোড। যেহেতু এটা ১০০ ফুট প্রশস্ত না এ কারণে সড়কের বাণিজ্যিক মর্যাদা কিন্তু আমরা বাতিল করে দিয়েছি। এছাড়া আবাসিক যেসব সড়কে এরইমধ্যে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলোর বিষয়েও আমরা পদক্ষেপ নেব। অবৈধভাবে যেন কেউ থাকতে না পারে।” সূত্র: বিডি নিউজ