প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
খার্তুমে বিমান হামলার পর সুদানে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি
সুদানে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হবে ২২ মে সন্ধ্যা থেকে। সৌদি আরবের জেদ্দায় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়। খার্তুমে গতকাল বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ হয়েছে। সশস্ত্র কয়েকজন কাতারের দূতাবাসে ভাঙচুর চালিয়েছে। মানবিক বিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও সুদানে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়।যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি সাত দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। উভয় পক্ষ সম্মত হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।পাঁচ সপ্তাহ ধরে সুদানে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে বেশ কয়টি চুক্তি ঘোষণা করা হলেও কোনোটাই কার্যকর হয়নি। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেদ্দায় চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ সই করেছে। যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী সমর্থন দিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
আড়ালে আলাপে আগ্রহী দুদল
সংলাপে রাজনৈতিক সংকট দূর হওয়ার নজির তৈরি হয়নি এখনো। তবুও নানা সময়ে সংকট নিরসনে রাজনীতিতে সংলাপ করা নিয়ে আলোচনা হয়। সংলাপের আশ্রয় নিতেও দেখা গেছে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভিন্ন মেরুতে অবস্থান থাকায় আবারও রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় আলোচনায় এসেছে ‘সংলাপ’। যদিও প্রধান দুই দলের নেতারা সংলাপে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন। আবার আড়ালে আলাপে দুই দলের আগ্রহও দেখা গেছে। অন্তরালের সংলাপ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার আড়ালে আলাপের মূল কারণ হলো বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বড় একটি অংশ বয়স্ক হয়ে গেছেন। তাদের অনেকের এবারের পরে নির্বাচন করার সক্ষমতা আর থাকবে না। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকতে গিয়ে সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। এ সময় সংসদ সদস্য হয়ে মর্যাদা নিয়ে চলতে চান তারা। বিএনপির ওই অংশের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাও রয়েছেন যারা নির্বাচনে যেতে চান। ফলে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী বিএনপির সেই সব নেতা আড়ালে আলাপে থাকতে রাজি আছেন। অন্যদিকে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চাওয়া বিদেশি শক্তিগুলোর সরকারের ওপর চাপ থাকায় বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। ফলে প্রকাশ্যে সংলাপের আগ্রহ না দেখিয়ে আড়ালের আলাপে আগ্রহী দলটির নেতারা। সূত্র: দেশ রুপান্তর
হিরোশিমায় বিক্ষোভকারীরা
জি৭ জোটকে সাম্রাজ্যবাদী ও যুদ্ধবাজ বলে আখ্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসহ স্মৃতিচিহ্ন বহনকারী জাপানের হিরোশিমা শহরে বিশ্বের ধনী সাত দেশ নিয়ে গঠিত ‘জি৭’ জোটের তিন দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে জাপানিরা। হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেলা আণবিক বোমার ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ এবং শান্তিবাদী পরিচয় দেওয়া কিছু গোষ্ঠী এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছে।জি৭ জোটকে সাম্রাজ্যবাদী ও যুদ্ধবাজ বলে আখ্যাজি৭ জোটকে ‘যুদ্ধবাজ’ ও ‘সাম্রাজ্যবাদী’ আখ্যা দিয়ে স্থানীয় বিক্ষোভকারীরা নিজের দেশের এ সম্মেলনকে প্রত্যাখ্যান করছে। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে থেকেই এসব বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবারই একদল বিক্ষোভকারী হিরোশিমা শহরে জমায়েত হয়ে জি৭ এবং এ জোটের ‘যুদ্ধনীতির’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকে।১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আণবিক বোমা নিক্ষেপকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ জি৭ জোটের অন্য দেশগুলোর নেতারা যখন ‘পিস মেমোরিয়াল পার্কে’ শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন, তখন হিরোশিমার ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া তোশিউকি মিমাকি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সময় তিন বছর বয়সী মিমাকি ধ্বংস হওয়া হিরোশিমা শহর থেকে বাবার সঙ্গে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
এল সালভাদরে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু
এল সালভাদরের একটি স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশের বরাত দিয়ে রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, সালভাদর ফুটবল লিগে আলিয়াজনা ও ফাসের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দেখতে সমর্থকরা রাজধানী সান সালভাদরের কাসকাতলান স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়ার পর সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।এল সালভাদর পুলিশ বাহিনী এক টুইটে জানিয়েছে, কাসকাতলান স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের গেট দিয়ে ঢোকার সময় ফুটবল সমর্থকদের হুড়োহুড়ি এই পদদলনের কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে বলছে পুলিশ। সূত্র: সমকাল
রাশিয়াকে চাপ দিতে চীনকে আহ্বান
ইউক্রেনে চলা যুদ্ধ বন্ধে বেইজিংয়ের কৌশলগত মিত্র মস্কোর ওপর চাপ দিতে চীনকে আহ্বান জানিয়েছে জি-৭ জোট। এক প্রতিবেদনে গতকাল শনিবার এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ সদস্যরা বলেন, ‘ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ করে তাৎক্ষণিক ও শর্তহীনভাবে সব সেনা প্রত্যাহারে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ এতে আরও বলা হয়, ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতিসংঘের নীতি সমর্থনে চীনকে উৎসাহিত করছি।’ এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতার পদক্ষেপ হিসেবে জেলেনস্কির সঙ্গে চীনের আলোচনার প্রশংসাও করেছেন জোট সদস্যরা।তবে দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান ইস্যুতে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন জি-৭ নেতারা। তাইওয়ান প্রসঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের’ আহ্বান জানান তারা। মূলত জি-৭ হলো অর্থনীতিতে শীর্ষ শক্তিধর ৭ দেশের একটি জোট। জোটটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলোÑ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও ইতালি। সদস্য না হলেও সম্মেলনে প্রতিনিধি পাঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশকে অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ করে জোটটি। এবারের সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন ইউক্রেনসহ অতিরিক্ত ৮ দেশের নেতারা। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়
ইউক্রেনের শেষ চাওয়াও পূরণ
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের * ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে পশ্চিমারা : রাশিয়া * পরমাণু অস্ত্রবিহীন বিশ্বের আহ্বান জি-৭ নেতাদের
যুদ্ধের শুরুর দিনগুলোতে আর্থিক অনুদান আর যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ইউক্রেন। তারপর দিন যায়, দীর্ঘ হয় যুদ্ধ। সেই সঙ্গে চাওয়া-পাওয়ার তালিকাও বড় হতে থাকে ইউক্রেনের। সাধারণ যুদ্ধাস্ত্রের চাহিদা শেষে চাইতে শরু করল ট্যাংক, অত্যাধুনিক পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একে একে পূরণও হয় সব। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা মিত্রের কাছে দেশটির সর্বশেষ চাওয়া ছিল আকাশপথে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। শুক্রবার বিশ্বের সাত ধনকুবেরের মিলনমেলা জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনে সেই আশাও পূরণ হলো ইউক্রেনের। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের এক বৈঠকেই ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এদিন হিরোশিমায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনের পালটা হামলা সফল করার জন্য গত কয়েক মাস ধরেই কিয়েভকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও ট্রেনিং সহায়তা দেওয়া নিয়ে ভাবছিলাম আমরা। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।’ শুক্রবার এ ঘোষণার পরপরই জাপানের উদ্দেশে রওনা দেন ইউক্রেনের পেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মাঝপথে সৌদি আরবের কয়েক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে শনিবার হিরোশিমায় পৌঁছান। সেখানে জি-৭ গ্রুপের ৭ রাষ্ট্রনায়কসহ উপস্থিত অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জেলেনস্কি। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার বাইডেনের সিদ্ধান্তকে শনিবার স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করারও ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান সহায়তা দিলে পশ্চিমা দেশগুলোকে ‘ভয়াবহ ঝুঁকিতে’ পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো। তাস। এদিনই আবার ‘পরমাণু অস্ত্রবিহীন’ বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছেন জি-৭ নেতারা । সূত্র: যুগান্তর
ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি
ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, যেসব মিত্র দেশের কাছে তাদের চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আছে তারা চাইলে সেগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারবে। শুক্রবার জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ জোটের নেতাদের এমন কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মার্কিনিদের এ সম্মতির পর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার গ্রুসকো হুমকি দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভকে বিমান দেয় তাহলে তারা ‘বড় ঝুঁকির’ মধ্যে পড়বে। গতকাল যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস নিউজ।তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখছি পশ্চিমা দেশগুলো এখনো যুদ্ধ বাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এটি তাদের জন্যই বড় ঝুঁকি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি আমাদের সব পরিকল্পনার মধ্যে নেওয়া হবে এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের সবকিছুই আছে।’ এদিকে এ বছরের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার সেই ‘আকুতি’-তে সাড়া দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিমান দিতে সম্মত হয়েছেন। তবে কবে কখন বা কোন দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবে সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। এ ছাড়া ইউরোপের দেশগুলোও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে কিছুটা দ্বিধা ও সংকোচ করছে। কারণ তাদের আশঙ্কা, বিমান দিলে যুদ্ধ ইউক্রেনের বাইরে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদিকে ইউক্রেনের পাইলটদের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান চালানো শেখাতে মিত্ররা যে যৌথ প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটনের তাতে সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
মেক্সিকোতে কার শো-তে গোলাগুলি, নিহত ১০
মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় বাহা ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি কার শো-তে গোলাগুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পৌর প্রশাসন।এনসেনদা শহরের স্যান ভিসেন্তে এলাকায় উঁচু-নিচু ভূখণ্ডে চলতে সক্ষম এমন গাড়ির প্রতিযোগিতা চলাকালে এই গুলির ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।পুলিশের কাছে ৯১১ তে যাওয়া ফোনের তথ্য মতে, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৮ মিনিটের দিকে একটি ধূসর রঙা ভ্যান থেকে বড় বড় বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে আসা কয়েকজন একটি গ্যাস স্টেশনে থাকা প্রতিযোগীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া শুরু করে। খবর পেয়ে রাজ্য ও পৌর পুলিশ, মেরিন সেনা, দমকল বিভাগ ও মেক্সিকোর রেড ক্রসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সূত্র: বিডি নিউজ
আরব লিগে প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রত্যাবর্তন, গোটা অঞ্চলের জন্য এর অর্থ কী?
এক দশকেরও বেশি সময় আগে সিরিয়ায় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। একনায়ক বাশার আল-আসাদ এই যুদ্ধের শুরু থেকে ইসলামপন্থীসহ বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ ও সুশীল সমাজকে ধ্বংস করতে ‘পোড়ামাটি নীতি’ গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে এর বিরোধিতায় অন্যান্য আরব দেশগুলো গোপনে সমর্থন যোগায় এবং এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট আসাদ আরব বিশ্বের সমাজচ্যুত নেতায় পরিণত হন।বিরোধীদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের দায়ে আরব লিগ থেকে সিরিয়াকে বহিষ্কার করা হয় ২০১১ সালে।কিন্তু এখন এই দৃশ্যপট আমূল বদলে গেছে।
প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতিবেশী দেশগুলো তাকে পুনরায় বরণ করে নিচ্ছে। আরব দেশগুলোর জোট আরব লিগে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে সিরিয়ার। এই ঘটনাকে দেখা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট আসাদের আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন হিসেবে।সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এই ফিরে আসা কিভাবে সম্ভব হলো এবং তার এই প্রত্যাবর্তন সিরিয়া, এই দেশের জনগণ, শরণার্থী এবং গোটা ওই অঞ্চলের জন্য কী অর্থ বহন করে? বিবিসির আরবি বিভাগের ফেরাসি কিলানি, যিনি ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার যুদ্ধের ওপর নজর রাখছেন, তিনি এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বন্যায় ইতালিতে গৃহহীন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ
প্রবল বৃষ্টির পর ভয়াবহ বন্যায় উত্তর-পূর্ব ইতালিতে ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্রমবর্ধমান বন্যা আরও অনেক ঘরবাড়ি গ্রাস করেছে।নতুন ভূমিধসে বিচ্ছিন্ন জনপদ। শনিবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালিতে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৩০৫টিরও বেশি ভূমিধস হয়েছে। এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলে ৫০০টিরও বেশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত বা বন্ধ হয়েছে।বন্যায় এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলের শহর ও শহরের রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।এছাড়া, ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ক্রমবর্ধমান জলরাশি আরও ঘরবাড়ি গ্রাস করছে।বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের কাজে সংশ্লিষ্ট একটি হেলিকপ্টার শনিবার লুগোর কাছে বিধ্বস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে থাকা চারজনের মধ্যে একজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গাড়িগুলো বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। বাড়িগুলো প্লাবিত হয়েছে। কিছু বাসিন্দা পানির রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছেন। সূত্র: বাংলানিউজ