প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
সরেজমিন শাহপরীর দ্বীপ
পলিথিন-ত্রিপলে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেরামতের চেষ্টা ক্ষতিগ্রস্তদের
টেকনাফ পৌর এলাকার কুলালপাড়া জিপ স্টেশন মোড় থেকে শাহপরীর দ্বীপ জেটি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের পথ। সেই জেটি থেকে জালিয়াপাড়া বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেল নাফ নদীর বাজারপাড়া ঘাটে নোঙর করা শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। নাফ নদীর তীরঘেঁষা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ জালিয়াপাড়া। প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দিয়ে সামনে যেতে দেখা গেল জালিয়াপাড়া এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর ও দোকানপাট। অধিকাংশ ঘরের চালা ও বেড়া উড়ে গেছে। বাঁধের ওপরে কিছু জেলে নৌকার জাল মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ইউনিয়নে অন্তত দুই হাজার পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছে। এখনো সরকারি কোনো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকটি এনজিও সংস্থার মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শামসুল আলম, প্যানেল চেয়ারম্যান, সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদজালিয়াপাড়া পানির ট্যাংক পর্যন্ত গিয়ে দেখা গেল, নিজের বিধ্বস্ত দোকানের সামনে বসে আছেন বশির আহমদ (৫৫)। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, ‘ঘরবাড়ি ও দোকান সব ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘরে থাকার মতো অবস্থা নেই। সূত্র: প্রথম আলো
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩০ মাফিয়া
৩০ মাফিয়ার হাতে জিম্মি কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মাদক ইয়াবা-আইস কারকার, অস্ত্র চোরাচালান, অপহরণ, খুন, গুম, ডাকাতিসহ অন্তত ১২ ধরনের অপরাধের নেতৃত্ব দিচ্ছে এরা। রোহিঙ্গাদের ৩৩টি ক্যাম্পে এদের কথাই শেষ কথা। এদের নির্দেশে যেমন লাশ পড়ে, এদের নির্দেশেই অরাজকতা চলছে প্রতিটি ক্যাম্পে। মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, জমিয়তুল মুজাহিদীন ও আল ইয়াকিনের নেতা এরা। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে এসে এরা এ সংগঠনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রত্যেকের রয়েছে অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার। অস্ত্রের ভান্ডারে রয়েছে অত্যাধুনিক একে ৪৭সহ চায়নিজ ভারী অস্ত্র। এরা প্রত্যেকেই অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষিত। নিজেরাও তাদের সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আর এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাহাড়ের গহিনে। যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনো পৌঁছাতে পারেনি। এদের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অসহায়। এ ৩০ মাফিয়ার নেতৃত্বে রয়েছে অন্তত ৫০ হাজার সন্ত্রাসী, যাদের মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার রোহিঙ্গা; যারা সশস্ত্র অবস্থায় প্রস্তুত থাকে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরেজমিনে অনুসন্ধানে এমন সব আশঙ্কাজনক তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, খুনোখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাটসহ নানা জঘন্য অপরাধজনক ঘটনার নেতৃত্বে থাকছে এ ৩০ মাফিয়া। তবে আশঙ্কাজনক খবর হচ্ছে, খোদ রোহিঙ্গা নিধনকারী বলে পরিচিত প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সরকারও গোপনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ সৃষ্টিতে ইন্ধন দিচ্ছে। এ খবর সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও ভাবিয়ে তুলেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
একদিকে নদী খনন, অন্যদিকে আড়াআড়ি বাঁধ
হাওরে পাউবোর দ্বৈত ভূমিকা
► ২০২২-২৩ : সুনামগঞ্জের ৪৮ হাওরে ২০৩ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ ► ২০২১-২২ : বাঁধের জন্য চাহিদা ছিল ১২৩ কোটি টাকা, ব্যয় ৯৫ কোটি ► ২০২০-২১ : চাহিদা ছিল ১৩৬ কোটি টাকা, ব্যয় ১০৯ কোটি ৮ লাখ ► ২০১৯-২০ : চাহিদা ছিল ১৩২ কোটি টাকা, খরচ ১০২ কোটি ৯৪ লাখ ► ২০১৮-১৯ : ব্যয় ধরা হয় ৯৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, খরচ ৮০ কোটি ২৪ লাখ
ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ নদীতে যথাযথভাবে ধরে রাখতে পারলে হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান রক্ষা পাবে। সে জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৌলাই নদী খনন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয়একই সময়ে সরকারি এই সংস্থা উপজেলার মনাই ও সরমরা নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলার অন্তত পাঁচটি নদ-নদীতে এমন সাতটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে।নদীতে বাঁধ দেওয়ার এই তৎপরতায় পিছিয়ে নেই পরিবেশবাদী সংগঠনও। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) কালাগাঙ নদীতে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এত রেমিট্যান্স কারা পাঠাচ্ছেন?
উন্নত জীবনযাপনের ‘আমেরিকান ড্রিম’ চোখে নিয়ে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছেন বহুসংখ্যক বাংলাদেশী। যুক্তরাষ্ট্রের সেনসাস ব্যুরোর (ইউএসসিবি) সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের শেষে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৬৪ হাজার। এর মধ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজারের কিছু বেশির। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের খানাপিছু গড় বার্ষিক আয় ৬৮ হাজার ডলারের কিছু কম। ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকসের (্ইউএসবিএলএস) হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২১ সালে খানাপিছু গড় ব্যয় ছিল প্রায় ৬৭ হাজার ডলার। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী খানাগুলোর উপার্জনকারীরা গোটা বছরজুড়ে আয় করেছেন দেশটির গড় খানাপিছু ব্যয়ের চেয়ে সামান্য বেশি। এ হিসাব আমলে নিলে বাংলাদেশী পরিবারগুলোর উদ্বৃত্ত বা সঞ্চয়ও খুব বেশি হওয়ার কথা না। যদিও এ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশীরাই এখন দেশের রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় উৎস। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যেক বাংলাদেশী প্রতি মাসে গড়ে ২ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে। যদিও সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের বক্তব্য হলো প্রতি মাসে জীবনযাপনের ব্যয় বহন করে দেশে ২ হাজার ডলার পাঠানো বেশির ভাগ বাংলাদেশী প্রবাসীর পক্ষেই প্রায় অসম্ভব। সূত্র: বণিক বার্তা।
গ্যাস নেটওয়ার্কের লিকেজ দূর করতে ১২,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব তিতাসের
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনে লিকেজের ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এই বাস্তবতায় এ দুই এলাকায় তাদের কয়েক দশক পুরোনো গ্যাস পাইপলাইন মেরামত ও বদলানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
প্রাথমিক প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিটি জুলাই থেকে ১২,৪১৬ কোটি টাকার প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু করবে। তবে এজন্য প্রথমে মোট ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ পেতে হবে তাদের।মাটির নিচে স্থাপিত সঞ্চালন পাইপলাইনের লিকেজ থেকে প্রায়ই গ্যাস নিঃসৃত হচ্ছে, মাঝেমধ্যেই যা ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণও হচ্ছে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। যেমন- গত ৫ মার্চ ভোরে রাজধানীর মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবে অবস্থিত প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে এক গ্যাস বিস্ফোরণে তিন জনের প্রানহানি হয়, আহত হন ৫০ জন। প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ডিভিশন) রাজীব কুমার সাহা টিবিএসকে বলেন, “উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়ন পেতে প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে মূল প্রকল্প প্রস্তাবও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে, মোট ব্যয়ের ৭,৬৬৯ কোটি টাকা দেবে সরকার, আর ৪,৭৩৩ কোটি টাকা বিভিন্ন দাতা সংস্থার থেকে পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কোম্পানিটি নিজস্ব তহবিল থেকেও ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
মানবিকে মন নেই বেসরকারির
প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের হালের চাকরির বাজারে কদর বেশি। এরপর বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের। মানবিক ও কলা বিভাগের বিষয়গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। অবশ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সীমিত পরিসরে এ বিভাগগুলো রাখছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগ খুলতে, সংশ্লিষ্ট বিষয় পড়তে ও পড়াতে চরম অনীহা। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীর নীতি-নৈতিকতা শেখা প্রয়োজন; ইতিহাস ও সাহিত্য জানাবোঝাও প্রয়োজন। তার জন্য বাংলা, ইতিহাস, দর্শনের মতো বিষয়গুলো পড়া দরকার শিক্ষার্থীদের। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় খুলতেই আগ্রহী নয়। পড়ানো তো দূরের কথা। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও এসব বিষয় পড়তে আগ্রহী হতে দেখা যায় না তেমন। সমাজের জন্য যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী দরকার, ঠিক তেমনি সাহিত্যিক, দার্শনিক, ইতিহাসবিদও প্রয়োজন। এজন্যই মানবিক ও কলা বিভাগের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সূত্র: দেশ রুপান্ত র
দেরিতে বর্ষা নামলে বিশ্বে চাল সরবরাহে আসতে পারে ‘দুঃসংবাদ’
দক্ষিণ এশিয়ায় আগামী মাসে বর্ষা শুরু হতে দেরি হতে পারে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হতে পারে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত। এমনটি হলে তাপদাহ আরও বাড়বে। এতে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী এ অঞ্চলে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে। খবর- সাউথ চায়না মর্নি পোস্ট। স্কাইমেট ওয়েদারের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মহেশ পালাওয়াত বলেন, আমরা মনে করছি এবার বর্ষা দেরিতে হতে পারে। এজন্য বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যদি বর্ষা নামতে চার থেকে পাঁচ দিন দেরি হয় তাহলে তাপমাত্রা কমবে না। তিনি বলেন, যদি বর্ষা শুরু হতে দেরি হয় তাহলে বৃষ্টির ঘাটতি হতে পারে। ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম বিশ্বের শীর্ষ তিনটি চাল সরবরাহকারী হওয়ায় এই অঞ্চলের জলবায়ু বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন আবহাওয়ার চরম তাপপ্রবাহকে ৩০ গুণ বেশি করে তোলে। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা দেয়। সূত্র: সমকাল
পদ্মার সংরক্ষিত জলাধারে বেআইনি বাঁধ, মাছের অভয়ারণ্য ধ্বংসের শঙ্কা
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক জলাধার ও মাছের অভয়ারণ্য দখল করে বেআইনিভাবে বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জেলেরা বলছেন, এটি নির্মিত হলে মাছের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত জোতপাড়া কোল অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। সেইসঙ্গে বিঘ্নিত হবে মাছের প্রজনন। লাধারটির অবস্থান কুমারখালীর ৩ নম্বর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জোতপাড়ায়। জেলা প্রশাসন এটিকে ‘প্রাকৃতিক মৎস্যের অভয়ারণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এ জলাধার স্থানীয় জেলেদের কাছে রাজস্বের বিনিময়ে ইজারা দিয়ে আসছে প্রশাসন। মূলত জলাধার দেখাশোনা করা ও মা মাছ ধরা যাবে না–এমন শর্তে জেলেরা এটির ইজারা নেন। কেবল স্থানীয় কার্ডধারী জেলেরাই এ কোলটির ইজারা পাবেন বলে শর্ত রয়েছে। বিধি অনুযায়ী, কোনো প্রভাবশালীর পক্ষে জলাধারটির ইজারা নেওয়া সম্ভব নয়। সূত্র: বিডি নিউজ
দুর্নীতির সিন্ডিকেটে অসহায় তিতাস
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে জেঁকে বসেছে অনিয়ম-দুর্নীতি। দুর্নীতি রোধে সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না ‘উপর মহলের’ প্রভাবে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির আদেশ দিলেই তা ঠেকাতে তৎপর হয়ে তার সঙ্গে অপকর্মে জড়িত পুরো চক্র; শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাসহ প্রভাবশালীদের তদবির। সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার গায়ে জুড়ে দেওয়া হয় জামায়াত-শিবিরের তকমা; চলে হুমকি-ধমকি, নানান অপপ্রচারসহ মারমুখী আচরণ। এভাবে একপর্যায়ে শীর্ষপর্যায়ের ওই কর্মকর্তাকে রীতিমতো কোণঠাসা করে ফেলা হয়; বাধ্য করা হয় নতি স্বীকার করতে। সিন্ডিকেটের এহেন দৌরাত্ম্যের কারণেই তিতাসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাচ্ছে না। তারা একই কর্মস্থলে ১৫-২০ বছর ধরে রয়ে যাচ্ছেন। একই কর্মস্থলে ৩০ বছর ধরে চাকরি করেছেন, এমন নজিরও রয়েছে তিতাসে। অথচ চাকরির রীতি অনুযায়ী তিন বছর অন্তর কর্মস্থল বদল হওয়ার কথা। তিতাসে দুর্নীতি রোধের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়- তিতাসের কর্মীরা একই কর্মস্থলে অনেকদিন ধরে কাজ করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। একই জায়গায় অনেকদিন থাকার কারণে গ্রাহকদের ঙ্গে অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছেন; লোকসান গুনছে কোম্পানি। একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার কারণেই কর্তৃপক্ষ অবৈধ সংযোগ, মিটার টেম্পারিং, কম্পিউটারে জালিয়াতি করে অবৈধ গ্রাহকদের এন্ট্রি করাসহ নানা ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে পারছে না। তিতাসে দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ তথা সার্বিক সংস্কারে দুদক সে সময় ২২টি সুপারিশও করেছিল। কিন্তু চার বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সেসব সুপারিশের অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে তিতাসও দুর্নীতিমুক্ত হয়নি। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়
আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ ‘আমদানির চেয়ে রপ্তানি তিনগুণ বেশি’ করে
আমদানির চেয়ে রপ্তানি সাড়ে তিনগুণ বেশি- যুগান্তর পত্রিকার মূল শিরোনাম। এতে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে বেশি, আমদানি বাড়ছে কম। ফলে বাণিজ্য পরিস্থিতি বাংলাদেশে অনুকূলে থাকার প্রবণতাও বাড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৮৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা দেশের মোট আমদানির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। একই অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭৪০ কোটি ডলারের পণ্য। এটা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। মানবজমিন তাদের শিরোনামে বলেছে, আমদানি বন্ধ করলে রপ্তানিও ঝুঁকিতে পড়বে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এতে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন, যারা বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশ থেকে কোনরকম কেনাকাটা করবে না বাংলাদেশে। তিনি এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে জানান। সূত্র: বিবিসি বাংলা।