Print

সারাদিন

ধামইরহাট সীমান্তে ৫০ বছর পর ৭৫ শতাংশ জমি পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৩

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুন সীমান্তে প্রায় ৫০ বছরের বিবাদ নিষ্পত্তির পর ৭৫ শতাংশ জমির মালিকানা পেয়েছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১২ এপ্রিল (বুধবার) দুপুরে ধামইরহাট সীমান্তে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে এ বৈঠকের পর জমির মালিকানা পেয়েছে বাংলাদেশে।

১৪ বিজিবি সূত্রে জানা, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুন সীমান্তে ২৫৭/২০ আর পিলারে কাছে জমি নিয়ে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফ এর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আর জমিটি বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছিলো।

বিরোধ নিষ্পত্তি করতে বিএসএফ এর সঙ্গে বিএসএফ এর পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়। পতাকা বৈঠকের এই আহ্বানে সাড়া দেয় বিএসএফ।

বুধবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ আরাদপুর এর মধ্যে সীমান্ত পিলার ২৫৮/৬-এস এর নিকটবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিজিবি এর পক্ষে ছয় সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ হামিদ উদ্দিন পিএসসি। অপরদিকে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বিএসএফ এর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের আরাদপুর ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট শ্রী শঞ্জয় কুমার মিশ্রা।

Nagad
Nagad

১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ হামিদ উদ্দিন পিএসসি বলেন, ‘৪৫ বছরের অধিক সময় ধরে বিবাদমান বিষয়টি আজ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সমাধান হলো, যার ফলোশ্রুতিতে বাংলাদেশ তার ৭৫ শতাংশ ভূখন্ড ফেরত পেল।’

এরপর উভয় দেশের সার্ভেয়ার দ্বারা জমি পরিমাপ করা হয়। ভূমি পরিমাপ শেষে ৭৫ শতাংশ জমিসহ অতিরিক্ত কিছু জমি পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই বর্ণিত জমিটি ভোগদখল করতে পারবে না এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পতাকা বৈঠকটি শেষ হয়। এসময় ভারতের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।